English Version
আপডেট : ৯ জুন, ২০১৬ ১৬:১০

পোশাক কারখানার ভেতরে শ্রমিককের ঝুলন্ত লাশ

অনলাইন ডেস্ক
পোশাক কারখানার ভেতরে শ্রমিককের ঝুলন্ত লাশ

আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানার অভ্যন্তরে শারিরীক নির্যাতন করে এক শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ এনে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯জুন) সকালে ঘোষবাগ এলাকার সোনিয়া স্যোয়েটার লিমিটেডের এগারো তলা ভবনের পঞ্চম তলায় স্যুইং অপারেটর মামুনের মৃতদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় শ্রমিকরা।

পরে শ্রমিকরা কাজ বাদ দিয়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। নিহত শ্রমিকের নাম মোঃ মামুন। সে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার জিরাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের শুকুর আলী। সে ঘোষবাগ এলাকার আলম ভূঁইয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে সোনিয়া স্যোয়েটার কারখানায় স্যুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতো।

এদিকে নিহত মামুনের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, বুধবার (৮ জুন) বিকেল ৫টার পর কারখানা কতৃপক্ষের কোন এক কর্মকর্তা মামুনকে মোবাইল ফোনে কারখানায় ডেকে নিয়ে আসে। এরপর আজ ভোরে কারখানার ভিতরে তার কর্মস্থলের পঞ্চম তলায় মামুনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, গত দুই মাস যাবৎ তাদের বেতন কম দিয়ে আসছে মালিকপক্ষ। কারণ তারা পঞ্চম তলায় যে মেন্যুয়াল মেশিনে কাজ চালাতো এখন তার দরকার নাই। অটোমেটিক মেশিনে করলে আর এত শ্রমিকের দরকার নাই। এ জন্যই মালিকপক্ষ কৌশলে মামুনকে নির্যাতন করে হত্যার পর তার মৃতদেহ ফ্যানের সাথে টানিয়ে রেখেছে। এখন পুলিশ এনে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

তাই যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের সহকর্মী মামুনের হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি সহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।

এ ব্যাপারে সোনিয়া স্যোয়েটার লিমিটেডের পরিচালক মাহবুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের কথায় কান না দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। পুলিশ আসছে তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।

ঘটনার ব্যাপারে কারখানায় উপস্থিত শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিবেদন পেলেই বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্নহত্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কারখানাটির সামনে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর- সময়ের কণ্ঠস্বর।