English Version
আপডেট : ২ জুন, ২০১৬ ১৯:১৮

অচিরেই কারাগারের সমস্যা সমাধান হবে

অনলাইন ডেস্ক
অচিরেই কারাগারের সমস্যা সমাধান হবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কারাগারের জনবল সংকট নিরসনে তিন হাজার ১০৭ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে মন্ত্রী কাশিমপুর কারাগারের প্যারেড মাঠে  ৪৮তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, কারা নিরাপত্তাকে আরও আধুনিকায়ন করার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জমাদি কেনা হবে। এই কারণে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

কারারক্ষীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাভ্যন্তর থেকে জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কোনওরকম সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। শৃঙ্খলা ও মানবিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করবেন। আধুনিক কারা ব্যবস্থাপনায় একটি চৌকস কারারক্ষী দল অপরিহার্য।

আশা করছি, মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে একটি চৌকস বাহিনী হিসেবে আপনাদের ওপর অর্পিত গুরু দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।

এর আগে মন্ত্রী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দি পুনর্বাসন প্রশিক্ষণের জন্য স্থাপিত আধুনিক আসবাবপত্র তৈরির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় তার সঙ্গে কারামহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার মো. মিজানুর রহমান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সুপার সুব্রত কুমার বালা, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার  প্রশান্ত কুমার বণিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, ৪৮তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজে ১৭৫জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ১৭১জন কারারক্ষী ও ৪জন নারী কারারক্ষী ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর ২৪ সপ্তাহব্যাপী ওই প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্নকারীদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ পাঁচজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।