English Version
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ১২:০৩

মুসলিম দেশে হিন্দু কেন প্রধান বিচারপতি? আপত্তি ওলামা লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক
মুসলিম দেশে হিন্দু কেন প্রধান বিচারপতি? আপত্তি ওলামা লীগের

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জমি-বাড়ি ফেরতের আইন ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন’ বাতিলের দাবি করে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন আওয়ামী ওলামা লীগ। একই সঙ্গে সংগঠনটি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ইস্তফা এবং বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের সকল অনুষ্ঠান বাতিলের দাবি জানিয়েছে। 

শনিবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবশৃংখল ও সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তারা বলেন, ‘মুসলিম দেশে কেন হিন্দু বিচারপতি? এটা মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।’

সমাবেশে বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে কড়াকড়ি আরোপের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানান ওলামা লীগ। এবার থেকে চালু হওয়া বৈশাখী উৎসব ভাতা বাদ দিয়ে ঈদ-ই মিলাদুন্নবিতে উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবিও জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠনটির নেতারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “পহেলা বৈশাখের নামে চারুকলার গাঁজাখোর মিডিয়া ও পুঁজিবাদী বেনিয়াগোষ্ঠি বাণিজ্য করছে। ওদের শোষণ থেকে জনগণকে বাঁচাতে হবে।”

মুসলমানদের ‘ইসলামহীন’ করার জন্যই পহেলা বৈশাখের ‘অপতৎপরতা’ বলে দাবি করেছে ওলামা লীগ, যে সংগঠনটি আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন শাহবাগ আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এবারের বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান বিকালের মধ্যে শেষ করা এবং মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার।

সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হলেও মুখোশ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা দেওয়ায় সরকারকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছে ওলামা লীগ। বৈশাখ উপলক্ষে ‘পান্তা-ইলিশ’ খাওয়ার চর্চা বাদ দিয়ে ‘জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষা’র আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন ‘উৎসব ভাতা’ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তরা বলেন, ‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়েছে। এজন্য মুসলমানদের পহেলা বৈশাখের বোনাস বাদ দিয়ে মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষে বোনাস দেওয়া উচিত।”

বৈশাখের বিরোধিতা করলেও নববর্ষের কোনো অনুষ্ঠানে হামলার বিরোধিতাও করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠনটি। সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসী হামলাকে ‘অনৈসলামিক ও হারাম’ আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখে সন্ত্রাসী হামলা ‘ইসলামে জায়েজ নেই’।