English Version
আপডেট : ৭ মার্চ, ২০১৬ ১৯:৪৬

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন মুহিত, বন্যা, হাসান ইমাম, মাকসুদুলসহ ১৪ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন মুহিত, বন্যা, হাসান ইমাম, মাকসুদুলসহ ১৪ জন

 

প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পেতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার সঙ্গে এই পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন পাটের জীন রহস্য আবিষ্কার করে সাড়া ফেলে দেওয়া বিজ্ঞানী প্রয়াত মাকসুদুল আলমও।রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাও এবারের স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই পদক তুলে দেবেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগঠক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে এই পদক দেওয়া হবে।

৮৩ বছর বয়সী মুহিত তিন দফায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে মোট নয়বার জাতীয় বাজেট দিয়েছেন। কৃষি গবেষক ড. মাকসুদুল আলম এই পদক পাচ্ছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে; তোষা ও দেশি পাটের জীবন রহস্য আবিষ্কারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে।

একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী আবদুস সালাম ও প্রয়াত রফিকুল ইসলামকেও এই পদকের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সোমবার স্বাধীনতা পদকের জন্য ১৪ ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেছে। মন্ত্রিসভায় মুহিতের সহকর্মী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে এই পদক পাবেন। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ১৯৭১ সালে ভারতের মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং ক্যাম্প, অপারেশন ক্যাম্প ও শরণার্থী ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে এই স্বীকৃতি।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং সমাজসেবক মরহুম মৌলভী আচমত আলী খান।

স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদান এবং দেশের জলসীমায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবারের স্বাধীনতা পদক পেতে যাচ্ছে।সুপারসনিক এয়ারক্রাফট এফ-৬ এর পাইলট এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স গঠন প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার বদরুল আলম বীরউত্তম পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

পদক পাচ্ছেন ১৯৭১ সালে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক রাজশাহী পুলিশ লাইনস্ আক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ ফোর্স সংগঠনে নেতৃত্বদানকারী শহিদ শাহ্ আব্দুল মজিদ।

রাঙামাটিতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে নেতৃত্বদানের জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদতবরণকারী রাঙামাটির তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল আলীও এবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীনতার সপক্ষে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার স্বীকৃতি হিসেবে এবার স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন সৈয়দ হাসান ইমাম।