English Version
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:১৭

প্রত্নতত্ত্ববিদ আ ক ম যাকারিয়ার জীবনাবসান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রত্নতত্ত্ববিদ আ ক ম যাকারিয়ার জীবনাবসান

 

প্রত্নতত্ত্ববিদ ও পুঁথিসাহিত্য বিশারদ আ ক ম যাকারিয়া ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এই সাবেক সচিব। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তার ছেলে মারুফ শমসের যাকারিয়া জানান, ফুসফুস ও কিডনির জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তার বাবা। তিনি ডা. মামুনুর রশিদ ও ডা. কামরুল আলমের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই তার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। মঙ্গলবার তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। আজ দুপুর ১২টার কিছু আগে ডাক্তাররা লাইফ সাপোর্ট খুলে নেন।

মারুফ শমসের যাকারিয়া জানান, বুধবার বিকালে লেক সার্কাস তেঁতুলতলা মাঠে তার বাবার জানাজার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার জোহরের পর ধরিকান্দি উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে আবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এ বিষয়ে শমরিতা হাসপাতালের এডমিশন বিভাগের ফাতেমা আক্তার বলেন, আ ক ম যাকারিয়া মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার রাতে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে মঙ্গলবার তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। আজ বুধবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি আরও বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যাকারিয়ার পরিবারবর্গ মরদেহ নিয়ে যান।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি  যাকারিয়া প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদক  পান। তার আগে ২০০৬ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। অসুস্থতার কারণে জীবনের শেষ তিনটি বছর তার কলাবাগানের লেক সার্কাসের বাসা ও হাসপাতালেই কেটেছে। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ৩ মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।