English Version
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১০:৩১

রাজধানীর উত্তরায় নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন!

রাজধানীর উত্তরায় নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন!

 

রাজধানী ঢাকার উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কের পাশের বৃক্ষ ব্যাপকহারে নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এর পেছনে ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ রয়েছে। পরিবেশবাদীরাও প্রকাশ করেছেন উদ্বেগ।

তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন সড়কটির পাশের গাছ ‘নির্বিচারে’ নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। তিনি বলছেন, যানজট নিরসনে স্থানীয়দের সুবিধার্থেই রাস্তার ওপর থাকা গাছই কাটা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, উত্তরের মেয়র আনিসুল হক সিটিতে সবুজের সমারোহ বাড়াতে বাড়ির ছাদে, এমনকি রাস্তা পারাপারের ফুটওভার ব্রিজেও বনায়নের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির পাশে সারি সারি গাছ পড়ে আছে। ৫/৭ বছর বসয়ী গাছ থেকে শুরু করে ফলজ ও বনজ কোনো বৃক্ষই বাদ পড়েনি নিধনযজ্ঞ থেকে। সড়কটির পাশে তখনও কিছু গাছ থাকলেও চলছিল সেগুলো কাটার প্রস্ততি।

শ্রমিকরা জানান, রাস্তার দুই পাশে নতুন করে ফুটপাত নির্মাণ করা হচ্ছে। ফুটপাত নির্মাণের জন্য তাদেরকে গাছ কাটতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে কেটে ফেলা গাছগুলোর রাস্তার দুই পাশে ছিল বলেই মনে হয়েছে।

ওয়ার্ড কাউন্সিলরের যুক্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গাছগুলো যদি রাস্তার ওপরেই হতো তাহলে এতোদিন কীভাবে চলাফেরা করলাম। কেউ কি কোনো দিন এনিয়ে অভিযোগ তুলেছে? ফুটপাতের যে গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে সেগুলো থাকলে বাসিন্দাদের আরও ভালো হতো। আমরা ছায়া পেতাম, পরিবেশও সুন্দর থাকতো। গাছ কাটার পেছনে কর্তাব্যক্তিদের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।

ফুটপাতের গাছও নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগের কথা জানালে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার বলেন, উত্তরায় প্রচুর যানজট। যানজট নিরসনে ফুটপাত সচলের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার সুবিধা স্থানীয়রাই বেশি পাবেন। ইঞ্জিনিয়ারা দেখতেছে। আমি বলে এসেছি, যেটা দরকার পড়বে কেটে ফেলবে। রাস্তার মাঝখানে পড়লেই কাইটা ফেলবে, ডাইরেক্ট। রাস্তার পাশের কিছু গাছও কাটা হচ্ছে, তা নির্দেশনার বাইরে গিয়ে হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে কাউন্সিলর আফসার বলেন, নির্দেশনা দেওয়া আছে, ডাইরেক্ট, ডাইরেক্ট। আমি ইঞ্জিনিয়ারদের বলে দিয়েছি। আবার বলে দেব।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ বলেন, সবুজ বনায়নের বিষয়ে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন সব সময় সরব। এরপরও উত্তরায় কী উদ্দেশ্য গাছগুলো নিধন করা হচ্ছে- তা বোধগম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের ফোরামে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

তথ্যসূত্র : বিডিনিউজ