গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর জন্য যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন

প্রেগন্যান্সি যেমন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়, তেমনই অন্যতম কঠিন সময়। এই সময় শরীর কখনও ভাল থাকে, কখনও খারাপ। তেমনই চলতে থাকে মুডেরও খামখেয়ালিপণা। সুস্থ মা মানে সুস্থ সন্তান। সেটা শুধু শারীরিকই নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় স্বামীর প্রয়োজন স্ত্রীর পাশে থাকা, তাকে গুরুত্ব দেওয়া, উৎসাহ যোগানো। জেনে নিন গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর পাশে কীভাবে থাকবেন-
-এই সময় অনেক অদ্ভূত ইচ্ছা হয়। প্রিয় খাবার আর প্রিয় থাকে না, আবার অনেক খাবার খেতে ইচ্ছা হয়। প্রায়শই আপনার কাছে অনেক কিছু দাবি করতে পারে আপনার প্রিয় মানুষটি। অনেক কিছুই আপনার কাছে অনর্থক মনে হতে পারে। সমালোচনা না করে তাকে বুঝুন। ক্ষতিকর হলে সন্তানের কথা বলে বুঝিয়ে বলুন। ক্ষতিকর না হলে দাবি পূরণের চেষ্টা করুন।
-এই সময় হরমোনাল পরিবর্তনের জন্য আপনার স্ত্রীর মুড সুইং করতে পারে। এমন অনেক কিছু উনি করতে পারেন যাতে আপনি বিরক্ত হবেন বা কথায় কথায় উনি আপনার উপর অভিমান করতে পারেন। অধৈর্য্য না হয়ে ধৈর্য্য ধরুন।
-এই সময় নারীদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসবে। চেহারার এই পরিবর্তনে অনেকেই নিজেকে অসুন্দর ভাবেন। হয়তো কিছুটা অসুন্দর আপনারও মনে হবে তাকে। এর ফলে গর্ভাবস্থায় অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে ভুগতে থাকেন। স্ত্রীর পাশে থাকুন। ওকে অনুভব করান সব সময়ই উনি আপনার জন্য সুন্দর, স্পেশাল।
-অনেকেই ভাবেন প্রেগন্যান্সিতে সেক্স উচিত নয়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় সেক্স ড্রাইভ বাড়ে। এই সময় অন্তরঙ্গতা কিন্তু সম্পর্ককে গভীর করবে। তবে এ সময় সেক্স করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
-গর্ভবস্থায় স্ত্রীকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। উনি কত ভাল মা হতে পারেন, সন্তান আসছে তাই আপনি কতটা খুশি এগুলো ওকে বলুন, বোঝান।
-গর্ভবস্থায় স্ত্রীকে খুশি রাখতে কিছু স্ট্র্যাটেজি মেনে চলুন। আপনি তার প্রতি কী কী দায়িত্ব পালন করছেন না, তা কিন্তু সহজেই অভিমানের উদ্রেক করতে পারে। নিয়মিত চেকআপের জন্য গাইনকোলজিস্টের কাছে যাওয়ার সময় সঙ্গে থাকা, খাওয়া-দাওয়ার যত্ন নেওয়া, একসঙ্গে হাঁটতে যাওয়া, একসঙ্গে বেবি শপিং, বাচ্চার নাম ঠিক করা- এগুলো করুন। এতে স্ত্রী মনে করবে আপনি তার প্রতি যথেষ্ট দায়িত্ববান।
-গর্ভযন্ত্রণা ও প্রসব কিন্তু জীবনের অন্যতম কঠিন সময়। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি আপনাকেই প্রয়োজন তার। ডেলিভারির সময় উনি আপনাকে লেবার রুমে চাইতেও পারেন, আবার নাও চাইতে পারেন। যেটা চাইবেন সেটাই করুন। সাহস যোগান।