ছেলে সন্তান গর্ভধারণে যে খাবারগুলো খাবেন

ছেলে বা মেয়ে হোক, দুটি সন্তানই সমান। তার পরও অনেক মা-বাবা আছেন যারা তাদের প্রথম সন্তান ছেলে চান। অনেকেই আবার বিষয়টা পুরোই ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেন। তবে বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা।
বিজ্ঞান বলছে, আপনার সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে সেটা নির্ভর করছে আপনার সিদ্ধান্তের ওপর। এটা পুরনো কোনো কল্পকাহিনী নয়, বরং বিজ্ঞানের কথা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এমন কিছু খাবার আছে সেগুলো প্রাকৃতিকভাবেই আপনাকে ছেলে সন্তান ধারণে সাহায্য করবে। খাবারগুলো খেলেই যে আপনার কোনো মেয়ে সন্তান হবে না এর নিশ্চয়তা নেই। তবে এই খাবারগুলো খেলে ছেলে সন্তান ধারণের সম্ভবনাই বেশি।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, ছেলে সন্তান ধারণের জন্য শুধু খাবার নয়, আরও কিছু উপায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে যৌন সম্পর্কের অবস্থা, গর্ভধারণের সময় এবং আপনার মাসিক ঋতুচক্রের তারিখও এর সঙ্গে জড়িত। যাহোক, সব কিছুর পরেও ছেলে সন্তান ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ডায়েট। এ ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান ধারণে কিছু খাবারের কথা জানিয়েছে লাইফস্টাইলবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডট কম কলা: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এটি গর্ভের মধ্যে ছেলে শিশুর ভ্রূণগুলো বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ফলে সহজেই ছেলে সন্তান ধারণ সহজ হয়। এজন্য প্রতিদিন দুটি করে কলা খাওয়া জরুরি।
নাস্তায় খাদ্যশস্য: পুরুষ শুক্রাণুগুলো খুব সূক্ষ্ম হওয়ায় এগুলোর বেঁচে থাকার জন্য একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ পরিবেশের প্রয়োজন হয়।এ কারণে যেসব নারীরা সকালের নাস্তায় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যশস্য খান তাদের ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মাশরুম: মাশরুমের ভিটামিন ডি শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুবই পুষ্টিকর একটি উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি যে কোনো দম্পতির জন্যই স্বাস্থ্যকর খাবার। তাই ছেলে সন্তান চাইলে নিয়মিত এই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সাইট্রাস ফল: সাইট্রাস ফলে ভিটামিন সি পূর্ণ থাকায় তা মায়ের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে ভালো রাখে। ফলে ছেলে শিশু গর্ভধারণে একটি অনুকূল পরিবেশ পায়। এ কারণে ছেলে সন্তান চাইলে নিয়মিত সাইট্রাস ফল খান।
স্টার্সি খাবার: বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, স্টার্সি খাবারে (যেমন- ভাত, আলু, রুটি) উচ্চমাত্রার গ্লুকোজ রয়েছে। এ কারণে এই খাবারে ছেলে শিশু সন্তানের ভ্রূণ ধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ভাত এবং আলুতে উচ্চ মাত্রার ক্যালরি থাকায় তা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সামুদ্রিক খাবার সামুদ্রিক খাবার হলো জিঙ্কের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি ছেলে সন্তানের ভ্রুণের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আর প্রাকৃতিকভাবে বেশি পরিমাণে এই ভ্রুণ ধারণ করলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যায়।
লবণযুক্ত খাবার: সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামে ভারসাম্যতা হলো ছেলে শিশুর ভ্রুণ ধারণের চাবিকাঠি। কাজেই নিয়মিত লবণযুক্ত বিভিন্ন খাবার গ্রহণে ছেলে শিশু হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে। কিন্তু গর্ভবর্তী হওয়ার পর লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনুন। তা না হলে আপনার রক্তচাপ অনেক বেড়ে যাবে।
টমেটো: আপনার শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে টমেটো। এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তা ছেলে শিশু ধারণের জন্য পিএইচের মান বজায় রাখতে সাহায্য করে।