আড়াইহাজারে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি

আসছে বাংলা ১৪২৫ ব্যাপকভাবে উদ্যাপন করার লক্ষ্যে আড়াইহাজারে সরকারি-বেসরকারি ও স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে নতুন বছরে আলখাতা খোলার জন্য স্থানীয় বণিক সমিতির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি নেওয়া বলে জানা। ব্যবাসা প্রতিষ্ঠানে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ধোয়ামূছার কাজ। স্থানীয় বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে চলছে সাজানো-গোচানোর কাজ। বর্ষ বরণকে বরণ করে নেওয়ার জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে নানা ‘মঙ্গলশোভা’ যাত্রাসহ কর্মসূচি। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া খানের সভাপতিত্বে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতিমূলক সভা। এ বছর রঙ বাংলাদেশের বৈশাখের বিশেষ আয়োজনে মূল প্রেক্ষাপট হচ্ছে ইউনেস্কো স্বীকৃত বাঙালীর ঐতিহ্যে সিলেটের শীতলপাটি, সাঁওতালদের দেয়ালচিত্র, মঙ্গল শোভাযাত্রা। রঙ বাংলাদেশের বৈশাখে আয়োজনে এবারে বাহারী রঙের সংগ্রহে রয়েছে তরুণীদের লং কামিজ, লংস্কাট, টপস, টপস প¬াজো, গাউন, শাড়ী, সিঙ্গেল কামিজ, ছেলেদের পাঞ্জাবী, শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া, ধূতি, উত্তরীয় আর ছোটদের শাড়ী, সিঙ্গেল কামিজ, ফ্রক, স্কাট, টপস, পাঞ্জাবী, শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া, ধূতি। সূতি, লিলেন, তাত, মসলিন, বলাকা সিল্ক, এন্ডি, ভয়েল কাপড়ের তৈরীকৃত পোশাকের নকশা ব্যবহৃত হয়েছে স্ক্রীন প্রিন্ট, বকপ্রিন্ট, হ্যান্ড ওয়ার্ক, কারচুপি ও গুঁজরাটির কাজ।
স্থানীয় দজিপাড়ায় চলছে পোশাক তৈরির হিড়িক। কাটিং মাস্টার ইয়াছমিন বলেন, বৈশাখের আয়োজনে প্রতি বছরের মত এবারে ও রয়েছে বাঙালীয়ানার ছোঁয়া। তবে পোশাকের পাশাপশি তাদের এবারের আয়োজনে রয়েছে ঘর সাজানোর মাটির তেরী জিনিসপত্র। পাশাপশি পটুয়া,নকশা এবং টপটেনেও রয়েছে বৈশাখের আয়োজন।
এছাড়া বৈশাখের আয়োজনে পিছিয়ে নেই আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিপনী বিতানগুলোও। পৌরসভার বাজারসহ অন্যান্য মার্কেট গুলোতেও রয়েছে বৈশাখের আয়োজন।
বৈশাখের আয়োজনকে আরও আনন্দময় করে তুলতে রেডিমেড জামার পাশাপাশি অনেকেই নিজেদের পছন্দের ডিজাইন অনুযায়ী জামা পড়তে পছন্দ করে। সেদিক থেকে গজ কাপড় বেচা-কেনা রয়েছে। তবে অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় গজকাপড়ের মধ্যে কাতান, গুঁজরাটি কাপড়ের চাহিদাটা বেশি রয়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া খান বলেন, এবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাংলা বছরকে বরন করে নেওয়ার জন্য নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকছে বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলা ও মঙ্গলশোভা যাত্রাসহ সকালে পান্থা ইলিশ।