সার্বিক পুষ্টি চাহিদা মেটাতে শিশুদের নানা ধরনের খাবার খাওয়াতে হয়। দেহ-মস্তিষ্কের পূর্ণ বিকাশের জন্যে সুষম খাদ্য দরকার।

তবে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাচ্চাদের সপ্তাহে অন্তত একবার মাছ খাওয়ালে তাদের ইন্টেলিজেন্স কুয়াটিয়েন্ট বা আইকিউ বেড়ে যায়। তারা অনেক বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হয়ে ওঠে।   সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়, সপ্তাহে অন্তত একবার যে শিশুরা মাছ খায় তাদের ঘুম ভালো হয়। সেই সঙ্গে আইকিউ পরীক্ষায় তাদের স্কোর অনেক বেড়ে যায়। তাদের আইকিউ গড়ের চেয়ে বেশি। যারা প্রতি সপ্তাহে মাছ খায় না তাদের আইকিউ গড় বা তার কমে অবস্থান করে।  

গবেষণায় বলা হয়, যারা সপ্তাহে অন্তত একদিন মাছ খেয়ে বড় হয় আইকিউ পরীক্ষায় তাদের স্কোর অন্যদের চেয়ে গড়ে ৩.৩ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে। এ ছাড়া বেশি বেশি মাছ খেলে ঘুমের সমস্যাও কমে যায়। সবমিলিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমের কারণে তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়।

এর আগের বিভিন্ন গবেষণায় জানানো হয়, মাছে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এই উপাদান বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি করে। আবার এর কারণে ঘুমও গভীর হয়। কিন্তু সার্বিকভাবে তাদের সম্পর্ক খুঁজে দেখা হয়নি।  

ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার প্রফেসর আদ্রিয়ান রেইনে বলেন, গভীর ঘুম অনেকটা ধ্যানের মতো কাজ করে। ফলে ঘুমের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার জোগসাজশ রয়েছে। ঘুমের অভাবে বাচ্চাদের মাঝে অসামাজিক আচরণ দেখা যায়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড অসামাজিক আচরণ প্রতিরোধ করে। আর এর পেছনে মাছের ভূমিকা অনবদ্য।  

আরেক প্রফেসর পিস্টো-মার্টিন জানান, যারা বেড়ে উঠছে তাদের পূর্ণ বিকাশের জন্যে তাই মাছকে অবহেলা করলে চলবে না। আরো বেশি মাছ খাওয়ার বিষয়টি তাই বিশেষজ্ঞদের আরো জোরদারভাবে তুলে ধরা উচিত। বাবা-মায়েদের বলতে হবে তারা যেন শিশুদের বেশি বেশি মাছ খাওয়ান।   সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস