English Version
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৬:২৮

কোলেস্টেরল নিয়ে সচেতনতা

অনলাইন ডেস্ক
কোলেস্টেরল নিয়ে সচেতনতা

কোলেস্টেরল থাকলেই যে আতঙ্কিত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এর ভালো-খারাপ আছে।

বিপদের আশঙ্কা তখনই করতে হবে, যখন দেহে ‘লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ বা এলডিএল কোলেস্টেরল মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে অতিমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকাটাই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক   কোলেস্টেরল বেশি থাকলে যা হয়

এটি আসলে রক্তের এক বিশেষ ধরনের ফ্যাট। মাত্রা ছাড়ালে তা মারাত্মক হয়ে ওঠে। যদি রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকে, তবে তা রক্তবাহী ধমনিতে জমা হতে থাকে। সেই সঙ্গে সংকুচিত হয়ে আসে রক্ত চলাচলের পথ। পরিণামে অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের মতো ভয়াবহ রোগ দেখা দেয়। অনেক সময় রক্ত জমাট বাঁধার মতো মারাত্মক সমস্যা দানা বাঁধে। কোলেস্টেরল বেশি হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে।

বংশগত

উত্তরাধিকার সূত্রে দেহে অতি কোলেস্টেরলের মালিক হতে পারেন আপনি। বংশে কারো দেহে এলডিএলের মাত্রা বেশি থাকলে অন্যদেরও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ অবস্থাকে বলা হয় ‘ফ্যামিলিয়াল হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া’। আমেরিকার ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউট জানায়, সাধারণত জন্মের সময় ‘হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া’ দেখা দেয়। এর কারণেই কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে।

খাবার

উচ্চমাত্রার ফ্যাটপূর্ণ খাবার দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই বিশেষ ফ্যাটের সাধারণ উৎসটিই হলো খাবার। মাংস ও প্রাণিজ খাবারে অনেক কোলেস্টেরল থাকে। তাই বিজ্ঞানীরা ফ্যাট বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণে সীমা আনার পরামর্শ দেন।

কায়িক শ্রম না করা

 অলস জীবনযাপনে কোলেস্টেরল সঞ্চয় হতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস পরামর্শ দেয়, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিটের মাঝারি শ্রমের ব্যায়াম করা উচিত। কিংবা এক সপ্তাহে মোট ৭৫ মিনিটের কঠিন শরীরচর্চা করতে হবে।

লক্ষণ

বেশি কোলেস্টেরল মানেই উচ্চ রক্তচাপ। এ কারণে দুটোকেই ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। নীরব বলার কারণ হলো, আপনি হয়তো টেরও পাবেন না যে ভয়ংকর মাত্রায় কোলেস্টেরল নিয়ে ঘুরছেন আপনি। অগোচরে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই নিজ উদ্যোগেই নিজের কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

ঝুঁকি

হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ক্রনিক কিডনি ডিজিস ও বুকে ব্যথার মতো সমস্যা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। ওষুধপথ্যসহ জীবনযাপন পরিবর্তনের নানা পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিরোধ

কাজেই আগে থেকে প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণই বুদ্ধিমানের কাজ। সচেতন হয়ে কোলেস্টেরলের আনাগোনা ঠেকিয়ে রাখতে হবে। সুষম খাদ্য তালিকাকে অবহেলা করা যাবে না।