ওজন কমাতে চাইলে ভুলেও খাবেন না!

যদি আপনার ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা মোটামুটি ১২০০'র মধ্যে বেঁধে রাখতে পারেন, তা হলে ওজন ধীরে ধীরে কমার কথা৷ তাই বলে যদি আপনি ১২০০ ক্যালোরিই জাঙ্ক ফুড, মিষ্টি বা ভাজাভুজি থেকে গ্রহণ করেন, তা হলে কিন্তু লাভ হবে না৷
খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন সব ধরনের প্রসেসড খাবার। যেমন- কোলা, প্যাকেটজাত চিপস, মিষ্টি, অ্যালকোহল৷ বাড়ির খাবার খান৷ বাড়ির খাবারের মধ্যেও দূরে থাকুন সস, চাটনি, আচার বা খুব কষে তেলমশলা দিয়ে রান্না করা ভারী পদ থেকে৷ চিজ়, মাখন, ঘি-ও এড়িয়ে চলুন৷ পাউরুটি, বিস্কিট, কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি ময়দা থেকে তৈরি খাবারও স্বাস্থ্যকর নয়৷ সম্ভব হলে পালিশ করা চালের বদলে ব্রাউন রাইসের ভাত খান৷
হাতে গড়া রুটি চলবে, কিন্তু বাঙালির প্রিয় ফুলকো ফুলকো সাদা ময়দার লুচি নয়৷ খুব ইচ্ছে হলে বড়োজোর গোটা দুই খেতে পারেন, কিন্তু অন্য খাওয়াদাওয়ার উপর সেদিন নিয়ন্ত্রণ টানতে হবে৷ ভুষিসমেত আটা, পালিশ ছাড়া চাল-ডাল কিনুন৷ তার খাদ্যগুণ অটুট থাকে এবং অল্প খেলেই পেট ভরে যায়, ফলে ওজন কমে দ্রুত৷ অনেক সময় তেষ্টা পেলেও আমরা ক্ষুধার্ত বোধ করি৷ কারণ আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশটি খিদের সিগনাল দেয়, তার খুব কাছাকাছি থেকেই আসে তৃষ্ণার বোধ৷ তাই খিদে পেলেই আগে বিস্কিট বা চিপসের দিকে হাত না বাড়িয়ে এক গ্লাস জল খান৷
এতে যদি খিদের বোধ মরে যায়, তা হলে বুঝবেন আসলে আপনার তেষ্টা পেয়েছিল৷ আর সত্যিই খিদে পেলে মিনিট দশেক পর কিছু একটা খেয়ে নেবেন৷ ছোটখাটো মুখ চালানোর ডন্য হাতের কাছে রাখুন বাদাম৷ যাঁরা বাড়তি ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা ভরসা রাখুন আখরোট আর আমন্ডের উপর৷
মনে রাখবেন ওজন কমানো একটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখার জন্য রীতিমতো নিয়মনিষ্ঠ হতে হয়৷ রাতারাতি আপনি সব খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়ে ফলের রস খেয়ে থাকলে অপুষ্টিতে ভুগবেন, তার চেয়েও বড়ো সমস্যা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই আইসক্রিম, মিষ্টি ইত্যাদি দেখলে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না৷ তাতে ওজন কমা তো দূর অস্ত, দুম করে বেড়ে যাবে৷ক্যালোরি ইনটেক কমাতে গিয়ে কোনও পরিস্থিতিতেই জলখাবার বা রাতের ডিনারে উপোস দেবেন না৷