English Version
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৫:৩৭

বিষন্নতা দূর করে মিউজিক!

অনলাইন ডেস্ক
বিষন্নতা দূর করে মিউজিক!

গান শোনার অভ্যাস থাকলে শুধু মন ভাল হয় না, সেই সঙ্গে একাধিক রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। চার্লস ডারউইন একবার বলেছিলেন, "যদি আবার একবার জীবন ফিরে পাই, তাহলে দুটি কাজ অবশ্যই করবো। একতো মন দিয়ে কবিতা পড়বো, আর দুই, গান শুনতে ভুলবো না।" একই মত ছিল আইনস্টাইনেরও। তিনিও বিবর্তনবাদের জনকের কথার রেশ ধরে বলেছিলেন, "আমি যদি গবেষক না হতাম, তাহলে অবশ্যই মিউজিশিয়ান হতাম।"

গান শোনার সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের কি কি সম্পর্ক, পছন্দের গান শুনতে শুনতে জেনে নিন গান শুনার উপকারিতা সম্পর্কে:- .বিখ্যাত আমেরিকান লেখিকা জোডি পিকোল্টের মতে মিউজিক হল স্মৃতিশক্তির নিজস্ব ভাষা। মানে হল গান শোনার সঙ্গে স্মৃতিশক্তির নিবিড় যোগ রয়েছে। আসলে গান শোনার সময় মস্তিষ্ক এত দ্রুত কাজ করতে শুরু করে দেয় যে স্মৃতিশক্তি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে কোনও কিছু শেখার ক্ষমতাও বাড়ে। .জর্জিয়া টেক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক প্রমাণ করেছেন গান শোনার সঙ্গে ওজন কমার সরাসরি যোগ রয়েছে। আসলে গান শোনার সময় কোনও কারণে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। হাল্কা আলোতে গান শুনতে শুনতে খাবার খাওয়া শুরু করবেন, দেখবেন উপকার মিলবে। .গান শোনার সময় স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত, কর্টিজলের ক্ষরণ কমে যায়। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। ফলে সুস্থজীবনের পথ প্রশস্ত হয়। বেশ কিছু গবেষণাতে এও দেখা গেছে যে গান শোনার অভ্যাস থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে। ফলে নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। .একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে গান শুনলে মস্তিষ্কের ভেতর ডোপামাইন নামে একটি "ফিল গুড" হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, ফলে স্বাভাবিকভাবেই মন অনন্দে ভরে যায়। তাই এবার থেকে যখনই মনে হবে মানসিক চাপ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখনই সময় বের করে পছন্দের কোনও গান শুনে নেবেন। দেখবেন নিমেষে মানসিক চাপের কালো মেঘ কেটে যাবে। .আপনার হার্ট কে সুস্থ রাখতে চাইলেও নিয়মিত গান শুনুন। কারণ ইউরোপের কিছু গবেষকের মতে গান শোনার মাধ্যমে আপনার মন ভালো থাকবে, যার ফলে আপনার দেহে এক ধরনের বায়োলজিকাল পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তের প্রবাহ সঠিক নিয়মে হবে আর আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।