শরীর থেকে বিয়াক্ত পদার্থ দুর করবে যে খাবার

আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের বিষাক্ত উপাদান প্রবেশ করে, যা প্রায়ই এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এসব উপাদান দেহ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য কিছু খাবারে জোর দেওয়া উচিত। কিছু খাবারের মাধ্যমে এসব উপাদান দেহ থেকে বের করে দেওয়া সহজ হয়।
ফল বিভিন্ন টাটকা ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন ফলে আছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার, যা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদানগুলো নির্মূলে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে চোখ ও ত্বক উজ্জ্বল করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। সবুজ খাবার সবুজ শাকসবজি দেহের অভ্যন্তরের বিষাক্ত উপাদান দূর করতে খুবই কার্যকর। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এটি যেন রাসায়নিক ও বিষমুক্ত হয়। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তেতো খাবার নানা ধরনের তেতো খাবার আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিরতার পানি অথবা করলা কিংবা নিমপাতার রসের জুড়ি নেই। লেবু ও কমলা লেবু ও কমলায় আছে একগুচ্ছ ডিটক্স ডাইট, যা টক্সিন নামক বিশেষ জৈব। এটি বিষ নির্মূলে সহায়তা করে। এ ছাড়া লেবুর ক্ষার শরীরে অম্লতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। প্রতিদিন এক ফালি লেবুর সঙ্গে গরম পানি আপনার শরীর থেকে বিষ নির্মূল করবে। রসুন রসুনে রয়েছে এলিসিন নামক রাসায়নিক উপাদান, যা রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদন ও টক্সিন নির্মূলে সাহায্য করে। রসুন কাঁচা কিংবা রান্না করে খেলেও উপকার মিলবে। গ্রিন টি গ্রিন টি-তে কেবল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই নয়, আরো বহু উপকারী উপাদান রয়েছে। দেহের ভেতর প্রবেশ করা ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্মূলে গ্রিন টি যথেষ্ট কার্যকর। তরল এই খাবার শরীরের বিভিন্ন অংশের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। আদা চর্বিসহ নানা ধরনের খাবার থেকে দেহে বাড়তি ক্ষতিকর উপাদান জমা হয়। শরীরে জমা হওয়া এসব বাড়তি উপাদানগুলো বের করে দিতে সহায়তা করে আদা। বাদাম ও বীজ কয়েক ধরনের বাদাম ও বীজ শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করতে ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে শণ বা তিসি বীজ, কুমড়ার বীজ, কাজুবাদাম, আখরোট, তিলের বীজ এবং সূর্যমুখী বীজ চমৎকার কাজ করে।