English Version
আপডেট : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৭:২০

যেসব ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা এগিয়ে

অনলাইন ডেস্ক
যেসব ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা এগিয়ে

‘পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’ -নারী ও পুরুষকে এভাবেই দেখেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কবির এই কবিতা থেকে বুঝা যায় পুরুষের চেয়ে নারী কোন অংশেই দুর্বল নয়। আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে। কর্মক্ষেত্রে তারা পুরুষদের মতোই সফল। তবে এমন কিছু ক্ষেত্র আছে যেগুলোতে কেবল পুরুষের তুলনায় নারীরাই বেশি এগিয়ে।

এবার জেনে নিন কোন ক্ষেত্রে নারীরা বেশি এগিয়ে- গন্ধ চিনতে নারীর নাক পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাই যে কোনো সুগন্ধ বা গন্ধ নারীর নাকে আগে এসে পৌঁছায়। কারণ নারীদের মস্তিষ্কের গন্ধকেন্দ্রের নার্ভে ক্রসসংযোগ থাকে পুরুষেদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি। অনুভূতির ক্ষেত্রে নারীরা যে অনুভূতির ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় এগিয়ে সেকথা বহুল উচ্চারিত। নারীর নরম হাতের প্রতিটি নার্ভসেলের স্কয়ার সেন্টিমিটার নাকি পুরুষের শক্ত হাতের নার্ভসেলের চেয়ে বড়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি যে কোনো অসুখের বিরুদ্ধে নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরুষের তুলনায় বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে তা নারীর সেক্স হরমোন ‘ইস্ট্রোজেন’-এর কারণে। তাছাড়া ‘ইস্ট্রোজেন’ নারীর রক্তনালীকে সুরক্ষা করে এবং নারীর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করে। নারীর ‘কুলনেস’ ‘ইস্ট্রোজেন’ নারীর স্ট্রেস হরমোনকে একদিকে যেমন দমন করে, তেমনি অন্যদিকে বড় ধরনের কোনো স্ট্রেসের সময়ও নারীকে শান্ত রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। চিন্তা ও ভাষায় ভিন্নতা মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থায়ই শিশু মস্তিষ্কে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন এবং নারী হরমোন ইস্ট্রোজেন আলাদাভাবে বিকাশ ঘটে। বহু সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, নারীদের চিন্তা-ভাবনা, বোঝার ক্ষমতা বা অনুভূতি অনেক গভীর হয়। তাছাড়া নারীরা পুরুষের তুলনায় অনেক সহজ ভাষায় তাদের মনের ভাব বা কোনো কঠিন কথাও সহজে বলে ফেলতে পারে। অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সচেতন গবেষণায় জানা গেছে, পুঁজি বা শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীদের লাভ হয় শতকরা দুই ভাগ বেশি। কারণ অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারে মেয়েরা বেশি সচেতনতার পরিচয় দিয়ে থাকে। নারীরা সতর্ক ড্রাইভার জার্মানির ট্র্যাফিক আইন অমান্য বা জোড়ে গাড়ি চালানো অপরাধীদের মধ্যে মাত্র ২১ শতাংশ নারী। আর শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে তিন ভাগের দুইভাগই ঘটে থাকে পুরুষদের কারণে। এই পরিসংখ্যান জানা গেছে জার্মানির ফ্লেন্সবুর্গ-এ ট্র্যাফিক অপরাধমূলক সংস্থা থেকে

ঢাকাপোস্ট/০২ডিসেম্বর/এইউ