ডিম নিয়ে যত ভুল ধারণা!

ডিমের ব্যাপারে প্রতিনিয়ত আমরা যে নিয়মগুলো মেনে চলি তার অনেকগুলোই আসলে আধুনিক কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিমের নানাবিধ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবাই কম-বেশি জানে।
পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিশ্বজুড়ে ডিমের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও ডিম নিয়ে মানুষের মনে রয়ে গেছে অনেক ভ্রান্ত ধারণা। আসুন এই ভুল ধারনাগুলো থেকে এবার বের হয়ে আসা যাক।
১) বড় শপিং মলের থেকে ডিম কেনার চেয়ে মুরগীর ফার্ম থেকে ডিম কেনা ভাল। এই চিন্তা করা আসলেই বৃথা। কারণ, আপনি যেখান থেকে ডিম কিনুন না কেন, এজন্য মুরগীর স্বাস্থ্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২) অনেকেই মনে করেন, দিনে একটির বেশি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনে তিনটি ডিম স্বাস্থ্যের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ। ডিম প্রোটিনের একটি আদর্শ উৎস।
৩) ডিমে থাকে প্রায় ২০০ মিলিগ্রামের মত কোলেস্টেরল, তাই অনেকে মনে করে থাকেন এটি খেলে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়বে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়বে। আসলে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ে বেশি পরিমাণে চর্বিযুক্ত খাবার খেলে যার ফলে লিভার থেকে বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল নিঃসৃত হয়। কিছু পরিমাণ কোলেস্টেরল আসলে দেহকোষকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন এবং এটি ডিম থেকে পাওয়া সম্ভব।
৪) অনেকে মনে করে থাকেন, ডিম মানুষের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ উচ্চমাত্রায় বৃদ্ধি করে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, সব ধরনের কোলেস্টেরল দেহের জন্য সমান ক্ষতিকর নয়। ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ আলাদা। ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি।
৫) অনেকের ধারণা অন্ধ লোকের চোখের আলো ফেরাতে সক্ষম ডিম। কিন্তু এটি মোটেও সত্যি কথা নয়। কারণ চোখের স্বাস্থ্য ভাল করার উৎস ডিমে রয়েছে, তবে এতে অন্ধ মানুষ ঠিক হয়ে যাবে তা আশা করা ভুল।
৬) হাঁসের ডিম নাকি মুরগীর ডিমে বেশি প্রোটিন? এই নিয়ে অনেকের অনেক ধরণের মতবাদ রয়েছে। আসলে মুরগীর ডিমে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভাল।
৭) ডিম ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে কোন লাভ নেই, কারণ ডিমের কুসুমেই থাকে সালমনেলা নামের ব্যাকটেরিয়া।