English Version
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০১৭ ১৫:৫২

নাসায় ইতিহাস গড়া কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী

নাসায় ইতিহাস গড়া কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী

 

মাত্র ২২ বছর বয়সে ইঞ্জিনিয়ার তকমা জুটিয়ে নেয়া তরুণী টিয়েরা গুইন। একটু চেষ্টা আর অল্প বয়সে পড়াশোনার পর্ব চুকিয়ে নিতে পারলে এই বয়সে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠা কঠিন কোনো বিষয় নয় বলে ভাবছেন যারা, তারা চমকে যাবেন কৃষ্ণাঙ্গ এ তরুণীর সফলতার গল্পে। কেননা সবে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা টিয়েরা কাজ করছেন নাসার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। আর সেখানে যুক্ত হওয়ার পর পরই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী রকেটের ডিজাইন করে মোটামুটি সাড়া ফেলে দিয়েছেন। এত অল্পবয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণীর নকশা করা রকেট নাসার ইতিহাসে এটাই প্রথম।

রকেট অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল ডিজাইন অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নাসার স্পেস লঞ্চ সিস্টেমে কাজ করেছেন তিনি। অবশ্য এখানে কাজের সুযোগ তো আর এমনি এমনি ধরা দেয়নি টিয়েরার কাছে। এর জন্য প্রচুর অধ্যবসায় করতে হয়েছে তাকে। সে যে পরিশ্রমী, সেটাও বেশ টের পাওয়া যায় তার স্নাতকের ফল দেখে। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী তিনি। 

অবশ্য টিয়েরা ছোটবেলা থেকেই অংক বেশ ভালোবাসতেন। মাত্র ছয় বছর বয়সেই মায়ের কাছে কঠিন সব অংক অনুশীলন করতেন। মায়ের সঙ্গে যখন গ্রোসারি শপে কেনাকাটার জন্য যেতেন, তখন নাকি কুপনে লেখা বিলের হিসাবটা ঝটপট সেরে ফেলতে পারতেন। কখনো সেই হিসাবে গড়মিল হতো না।

অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতেন সেই ছোটবেলা থেকেই। একবার আকাশে উড়ে যেতে দেখা বিমান দেখে পণ করেছিলেন কোনো একসময় নিজেই একটি প্লেনের নকশা করবেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই উচ্চতর পড়াশোনার বিষয় হিসেবে বেছে নেন এটিকে। টিয়েরার দেখা প্রিয় সিনেমাগুলোর একটি ‘হিডেন ফিগারস’। আর এ ছবি থেকেই নাকি তিনি অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

টিয়েরার মতে, কেউ যদি তার লক্ষ্যে স্থির থাকে, তাহলে তার সাফল্য নিশ্চিত। নিজের দেখা স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, থেমে থাকলে চলবে না। এতে যত  বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেন।