English Version
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৭ ১১:৩৩

ঈশ্বরের দ্বীপ বালিতে...

ঈশ্বরের দ্বীপ বালিতে...

 

ছুটিছাটা মানেই সদলবলে ঘুরে আসা পছন্দের জায়গা থেকে। যারা ঘুরে আসার জন্য দেশের বাইরে কোথাও যাওয়ার কথা ভাবেন, তাদের কাছে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ উপযুক্ত বটে। বালি দ্বীপে ভ্রমণের আগে জেনে নিন টুকটাকি—

বালিকে বলা হয় আইল্যান্ড অব গডস বা ঈশ্বরের দ্বীপ। ইন্দোনেশিয়ার ১৭ হাজার দ্বীপের মধ্যে এটি অন্যতম।

 

বালি মূলত কোরাল ট্রায়াঙ্গেলের অংশ। যা এখন পর্যন্ত সামুদ্রিক প্রজাতিগুলোর জন্য সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় দ্বীপ। সার্ফিংয়ের সবচেয়ে ভালো জায়গাগুলোর মধ্যেও বালি অন্যতম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা একই সঙ্গে নিজের ঝুলিতে পুরতে চাইলে বালি থেকে ভালো ভ্রমণ উপযোগী জায়গা কমই আছে। অন্যদিকে বেশ পুরনো মন্দির ও প্রাসাদ, সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এবং গভীর জঙ্গল সবই ভ্রমণপিপাসুকে আকর্ষণ করবে।

 

বালি দ্বীপের দক্ষিণে সাদা বালির সৈকত এবং উত্তর ও পশ্চিমে কালো বালির সৈকতও বেশ আকর্ষণীয়। সব মিলে পর্যটক টানার মতো সব ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ এই দ্বীপ একবার চোখে না দেখা মানে পৃথিবীর সৌন্দর্যের অনেকটাই না দেখা। হতে পারে এই জন্যই বালিকে বলা হয় ঈশ্বরের দ্বীপ।

 

সৌন্দর্যের গল্প শুনে ব্যাগ গোছানোর কথা ভাবছেন এখনই। কিন্তু একটু শুনে রাখুন সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর উত্তম সময় বালি ভ্রমণের জন্য। শুকনা মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ার এই দ্বীপে ঘুরে আসা ভালো সিদ্ধান্ত।

 

বালিতে আরো অনেক কিছুর মতো যে সৌন্দর্য উপেক্ষা করা যাবে না, সেটি হচ্ছে মাউন্ট বাতুরের চূড়া থেকে সূর্যোদয় দেখা। পৃথিবীর অনেক পর্যটকের কাছে এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যগুলোর মধ্যে এটিকেই মনে হয়েছে।

 

পর্যটকদের যাওয়া-আসা বেশি হলেও এখানে পাবলিক পরিবহন সুবিধা তেমন একটা নেই। তবে ট্যাক্সি পাওয়া যায় সহজেই। সে সঙ্গে কেউ যদি আরো একটু সাশ্রয়ী হতে চান, তাহলে বেছে নিতে পারেন মোটরবাইক।   সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার