লাউয়ের রসের উপকারিতাগুলো জেনে নিন

একদিকে পরিবেশ দূষণ অন্য দিকে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন; এই দুইয়ের চাপে শরীরের অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। তাই তো বয়সের কোনো গণ্ডি মানছে না রোগেরা। আগে যেখানে ৫০-এর পরে গিয়ে ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হত মানুষেরা, সেখানে আজকাল ২৫ বছরের যুবকেরাও এমন মারণ রোগের ছোবল থেকে বাঁচতে পারছে না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় যে কতজন ভুগছেন তা তো গুণে শেষ করা যাবে না। এইসব থেকে বাঁচার উপায় কী? শরীর থাকলে রোগ হবেই। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে যতদিনই বাঁচুন সুস্থ হয়ে জীবন কাটাতে পারবেন, রোগের জ্বালায় কাতরাতে হবে না। এই সব উপকারি খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম হল লাউয়ের রস। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে, সেই সঙ্গে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বেশিরভাগ জটিল রোগকেই দূরে রাখে। তাহলে বুঝতেই পারছেন তো লাউয়ের রস খাওয়া আজকের পরিস্থিতিতে কতটা জরুরি। কী কী উপকার পাওয়া যাবে লাউয়ের রস খেল? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে। ১. লাউয়ের রসে প্রচুর মাত্রায় আয়রণ রয়েছে যা ব্লাড সেলের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ২. বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন। আজ থেকেই সকাল-বিকাল খাওয়া শুরু করুন লাউয়ের রস, দেখবেন কয়েকদিনেই রোগ একেবারে সেরে যাবে। আসলে লাউয়ে ভিটামিন- বি রয়েছে, যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজে দেয়। ৩. মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতার উন্নতিতে লাউয়ের রস সাহায্য করে। ৪. ডায়াবেটিসে আক্রান্তরাও এই রস খেতে পারেন। এতে চিনি বা শর্করা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তবুও ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা একবার চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিয়ে তারপর খাওয়া শুরু করবেন লাউয়ের রস। ৫. গরমকালে লাউয়ের রস খাওয়া একান্ত জরুরি। কারণ এটি শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা করে। ফলে গরমকালীন নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়া থেকেও বাঁচায়। ৬. রাতে ঘুম আসতে চায় না? প্রতিদিন শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস করে লাউয়ের রস খান। দেখবেন অনিদ্রা দূরে পালাবে। প্রসঙ্গত, ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও লাউয়ের রসের কোনও বিকল্প নেই। ৭. দুপুর বেলায় লাউয়ের রস খেলে ওজন হ্রাস পায়। তাই যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা এখনই এই জুসটি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ফল পাবেন।