কিছু ছোট আদব যা আপনাকে সম্মানিত করবে

জীবন যাত্রা ডেস্ক: আধুনিক সমাজে চলতে গেলে কিছু ছোট ছোট আদব সবাইকেই মেনে চলতে হয়। যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকে আরো সহজ করে দিতে পারে। জানতে চান, সেগুলো কী কী?
১. লিফটে উঠে আপনি যদি আগে নামতে চান তাহলে সবার শেষে উঠে সামনের দিকে দাঁড়ান। পেছন থেকে সবার আগে নামাটা অন্যের জন্য বিরক্তিকর।
২. গাড়ির সবচেয়ে সম্মানজনক আসন হলো চালকের পেছনে। আর এটা মেয়েদের জন্যই বেশি ভালো। এতে গাড়ির চালক দ্রুত গাড়ির দরজা খুলে দিতে পারেন।
৩. শিশুদের রুমে ঢোকার আগে দারজায় টোকা দিন। এতে আপনি ছোট হবেন না। আপনার এই অভ্যাসের কারণে আপনার সন্তানও শিখবে যে, বাবা মায়ের রুমে ঢোকার আগে দরজায় টোকা দিতে হবে।
৪. কোনো মিটিং বা অনুষ্ঠানে গেলে কখনোই হাতের ব্যাগ কোলের ওপর বা টেবিলের ওপর রাখবেন না। ব্যাগ পায়ের কাছে রাখাটাই ভদ্রতা।
৫. এই পোশাকটি কোথা থেকে কিনেছেন? দাম কত? এমন প্রশ্ন করার পর কেউ যদি হেসে উত্তর দেয়, উপহার পেয়েছি। তাহলে এখানেই প্রশ্ন করা বন্ধ করে দিন। তার বলার আগ্রহ থাকলে সে নিজেই অন্য তথ্য দেবে।
৬. অন্তত ৯ টি বিষয়ের তথ্য গোপন রাখাটাই ভালো। আর তা হলো- আপনার বয়স, অর্থসম্পদ, পারিবারিক কলহ, ধর্ম, শারীরিক সমস্যা, প্রেম, উপহার, সুনাম ও অপমান।
৭. সিনেমা হল, থিয়েটার কিংবা কনসার্টে নিজের সিটের কাছে যাওয়ার সময় যারা বসে আছে তাদের দিকে সম্মুখ দিক দিয়ে যান। কখনোই উল্টোভাবে হেঁটে যাবেন না।
৮.কখনোই ফোন না করে কারো বাসায় দেখা করতে যাবেন না। সারপ্রাইজ দিতে চাইলেও আগে ফোন করে জানুন তিনি কোন পরিস্থিতিতে আছেন। আপনার যাওয়ার বিষয়টি গোপন রেখেই তার খোঁজখবর আগে নিন।
৯. কেউ যদি আগে থেকেই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায় তাহলে স্বাভাববিকভাবেই সে বিল দেবে। তবে কেউ যদি বলে, চলেন কোনো রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে আসি তাহলে ভেবে নেবেন আপনাকেও বিল দিতে হতে পারে। সে দাওয়াত দিচ্ছে, এটা না ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ।
১০. অফিস বা অন্য কারো বাসায় যাওয়ার পর ভেজা ছাতা খুলে শুকানোর চেষ্টা করবেন না। ভেজা থাকলেও ছাতা বন্ধ করে রাখুন।