স্বতীচ্ছেদই কী ভার্জিন নারী চেনার উপায়?

পাঠক জিজ্ঞাসাঃ শুনেছি মেয়েরা একাধিক পুরুষের সাথে সেক্স করলে তার প্রমাণ নাকি তার যোনিতে থেকে যায়। এটা কি সত্যি? এটা বের করার কি কোনো ডাক্তারি পরীক্ষা আছে?এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও গাইনী ডাক্তাররা যা বলেন জেনেনিন তাদের কথাগুলো।
ডাক্তার রাণীঃ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া কোনো নারীকে বাহ্যিকভাবে চেনার তেমন কোনো উপায় নেই। তবে আমরা প্রায় সবাই জানি যে প্রথম মিলনে নারীদের। হাইমেন বা স্বতীচ্ছেদ হয়ে থাকে। এই সতীচ্ছেদেরে বিষয়টি পরীক্ষা করেই বোঝা সম্ভব যে নারীটি পূর্বে কোনো শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন কী-না। তবে অনেক সময় এটি প্রাকৃতিকভাবেই মাঝে মাঝে ছিঁড়ে যায়।
ফলে কোনো নারীর পূর্বে থেকেই স্বতীচ্ছেদ থাকা মানেই এই না যে তিনি অবশ্যই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। উল্লেখ্য কোনো নারী একাধিক পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে কী-না এর কোনো নির্দিষ্ট ডাক্তারি পরীক্ষা নেই যদিনা ঘটনার মুহূর্তেই ডিএনএ পরীক্ষা না করা হয়ে থাকে।
স্বতীচ্ছদ বাংলা অর্থ যার হাইমেন গ্রীক ভাষা থেকে এসেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হাইমেন বা স্বতীচ্ছদ অর্ধচন্দ্রাকার একপ্রকার শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী যা স্ত্রী যোনিমূখ ঘিরে থাকে। এটি শরীরের অতি জরুরী অঙ্গের একটি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বতীচ্ছদের মুখ/ছিদ্র ক্রমশঃ বড় হতে থাকে। এটি যোনীমুখের একদম সামনের দিকে অবস্থিত। দুই পা সম্পূর্ণ ছড়িয়ে দিয়ে ছোট একটি আয়না সামনে রেখে আপনি এ পর্দটি নিজেই দেখতে পারেন।
যেসব কারণে স্বতীচ্ছদ ছিড়ে যেতে পারে সেগুলো হলোঃ
*** প্রতি ১০০০ হাজার মেয়ে শিশুর ১ জন স্বতীচ্ছদ ছাড়াই ভুমিষ্ঠ হয়।
*** শতকরা ৪৪% নারীর-ই প্রথমবার মিলনে কোন প্রকার রক্তপাত হয়না।
*** স্বতীচ্ছেদ খেলাধুলা কিংবা অন্যকোন কারণে প্রাকৃতিকভাবেই ফেটে যেতে পারে।
*** মাসিক ঋজঃস্রাবের সময় স্বতীচ্ছদে অবস্থিত ছিদ্র রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখতে প্রাকৃতিক ভাবেই বড় হয়ে যায়।
*** টেমপুন ব্যবহারের ফলে স্বতীচ্ছেদ ছিড়ে যেতে পারে।
*** অনেক নারী যাদের ছোট কিংবা ইলাষ্টিক টাইপ স্বতীচ্ছেদ থাকে তাদের কখনো স্বতীচ্ছেদ ফাটে না। এমনকি সন্তান জন্ম দেবার পরও স্বতীচ্ছদ অক্ষত থাকে।
*** স্বতীচ্ছদ ফাটলেই রক্তক্ষরণ হবে – এটি ভুল ধারনা। রক্তক্ষরণ ছাড়াও স্বতীচ্ছেদ চিড়ে যেতে পারে।