English Version
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ১১:৩২

প্রাকৃতিক ঔষধ পুদিনার রসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রাকৃতিক ঔষধ পুদিনার রসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা

পুদিনা গাছ কষ্টসহিষ্ণু, দ্রুত বর্ধনশীল এবং চিরহরিৎ উদ্ভিদ। বহুকাল থেকেই পুদিনা পাতার রস ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়াও বুক জ্বালাপোড়ার প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার হয়ে আসছে পুদিনার রস। আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পুদিনার ব্যাপক স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে। সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক তাহলে।

পুদিনার রস পেট ব্যথা ও যন্ত্রণাদায়ক পেটের সমস্যা নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। পুদিনার জুসে ফাইটোনিউট্রিএন্ট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মেন্থল থাকে। এই উপাদানগুলো হজমে সাহায্য করে এবং খিঁচুনি প্রতিরোধ করে। পুদিনায় ফাইটোকেমিক্যাল পেরিলাইল অ্যালকোহল থাকে বলে এর থেকে ক্যান্সাররোধী সুবিধাও পাওয়া যায়। বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে পুদিনার রস।

পুদিনার রসে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। এছাড়াও পুদিনার রস ব্রণ দূর করতেও সাহায্য করে। ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে পুদিনার জুস। নিস্তেজ, ফাটা ও স্তরপূর্ণ ত্বককে আর্দ্রতা প্রদান করতে পারে পুদিনার রস। এটি ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ ও ত্বকের খুঁত দূর করতে সাহায্য করে। ছত্রাকজনিত রোগ ক্যান্ডিডা নিরাময়ে চমৎকারভাবে কাজ করে পুদিনার রস, তাই ছত্রাকরোধী ঔষধ মেট্রোনিডাজলের সাথে ব্যবহার করা হয়।

পুদিনার রসে রোজমেরিনিক এসিড থাকে যা এক ধরণের অ্যান্টঅক্সিডেন্ট। ফ্রি র‍্যাডিকেল ও অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে এটি। অ্যালার্জির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে পুদিনার রস। এছাড়াও অ্যালার্জির লক্ষণগুলোকে কমাতে সাহায্য করে পুদিনার রস।

পুদিনার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পুদিনায় ভিটামিন বি, ই, সি ও ডি থাকে বলে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। এটি স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। হতাশা দূর করতেও সাহায্য করে পুদিনার রস। যেহেতু পুদিনায় অ্যান্টি স্পেসমোডিক উপাদান থাকে সেহেতু এটি পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। পুদিনার রস রক্তকে পরিশোধিত হতে সাহায্য করে। প্রেগন্যান্ট নারীদের মর্নিং সিকনেস থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে পুদিনার রস। তবে শিশুর জন্মের পরে মায়েরা পুদিনা পাতা না খাওয়াই ভালো কারণ এতে দুগ্ধক্ষরণ প্রভাবিত হতে পারে।

পুদিনার রসে ব্যাকটেরিয়ারোধী ও প্রদাহরোধী উপাদান থাকে বলে ওরাল ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এই একই কারণে ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধেও চমৎকার কাজ করে পুদিনার রস। শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিরাময়েও কাজ করেও পুদিনার রস। গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা পুদিনার রস দিয়ে গরম পানীর ভাপটুকো মুখ দিয়ে নিয়ে নাক দিয়ে বের করে দিন। এতে নাক ও গলা পরিষ্কার হবে।

গ্রিনটি এর সাথে পুদিনার পাতা ফুটিয়ে নিয়ে পান করুন। এছাড়াও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এবং দাঁতের রোগকে দূরে রাখার জন্য নিয়মিত কয়েকটি পুদিনার পাতা চিবাতে পারেন।