English Version
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৬ ১২:৪৯

নারীর কর্মস্থলে অহরহ হয়রানি

অনলাইন ডেস্ক
নারীর কর্মস্থলে অহরহ হয়রানি

জীবন যাত্রার উন্নয়নসহ পরিবারকে সহায়তা দানেই মূলত নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ। অনেক ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষের পাশাপাশি সম ভূমিকাতে পাওয়া যাচ্ছে। উন্নতি লাভ করছে নিজেদেরসহ দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো। নারীর দক্ষতা তাকে টেনে আনছে সমান অংশীদারিত্বে।

অথচ নিজ কর্মস্থলেই নারীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, বরং অহরহ যৌন হয়রানি আর নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের হয়রানি সাধারণ ও স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

একজন নারীর পেশায় তার রুটি-রুজি ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে। তাই সমস্যা হলেই তা ছেড়ে আসা নারীর পক্ষে সম্ভব হয় না। আর সেখানে একজন নারীকে সহ্য করে যেতে হয় পুরুষ সহকর্মীর নানা অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ।

কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখলেও কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের পুরুষ আছে আমাদের সমাজে। যারা নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ে ভোগে। আদর্শহীনতা, সংযমের অভাব, আর্থিক সাম্যহীনতা, অশিক্ষা, মানবিক শ্রদ্ধাবোধের ঘাটতি, অশান্তি, মানসিক অস্থিতিশীলতা তাদের চরিত্রের ঘনিষ্ট বৈশিষ্ট্য।

সেখানে কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ তাদের কাছে স্বাভাবিক।

যেমন- নারী সহকর্মীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে মন্তব্য করা; কথা বলার মাঝে কোনো অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা; কোনো নারীকে আগের দিন বিকেল বা রাতটা কেমন কাটলো এবং কী করেছিল সে তা জানতে চাওয়া; নারীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে অন্য সহকর্মী নারীকে নিয়ে কথা বলা; নারী সহকর্মীর দিকে পলকহীন তাকিয়ে থাকা; সুযোগ পেয়ে নারী সহকর্মীকে স্পর্শ করা।

নারীর পোশাক নিয়ে মন্তব্য করা তাদের কাছে কোনো ব্যাপার নয়। অথচ এসবই নির্যাতনের সমান। প্রত্যেক নারীকে এই পরিবেশ সামলাতে সচেতন হতে হবে। কর্মপরিবেশ বুঝে তারপর সেখানে প্রবেশ করতে হবে।

তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে নারীরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে জোট গড়ে তুলতে পারেন। তাতে কুরুচিপূর্ণ পুরুষরা এমন আচরণ করতে কিছুটা হলেও পিছিয়ে আসবে। গড়ে তোলা সম্ভব হবে দারুণ প্রতিরোধ।