যে তিন কথা বন্ধুকে বলতে নেই

বন্ধু ছাড়া জীবন প্রায় অসহায়। তাই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের আছে এমন কিছু বন্ধু যাদের কাছে প্রাণ খুলে সব কথা বলা যায়। তবে সেই বন্ধুর কাছে মনের সব দুঃখ নিমিষেই দূর গেলে ৩টি কথা বলতে বারণ রয়েছে। সংসারে কিছু কথা থাকে খুবই গোপন যা শোবার ঘরের চার দেওয়ালের বাইরে নেওয়াই ঠিক নয়। আমেরিকার একজন বিবাহবিষয়ক পরামর্শদাতা তার ‘ব্রেকিং দ্য আর্গুমেন্ট সাইকেল: হাও টু স্টপ ফাইটিং উইদআউট থেরাপি’ বইয়ের লেখক শ্যারন রিভকিন একটি ওয়েবসাইটে জানান, এমন তিনটি গোপন বিষয় যেগুলো গোপন রাখা সম্পর্কের জন্য মঙ্গলকর।
যৌনজীবনের গোপনীয়তা: যৌনজীবন নিয়ে উত্তেজনাকর অনেক তথ্যই বন্ধুদের মধ্যে আদান প্রদান করা হয়। তবে সেই তথ্য যদি নিজেদের সম্পর্কে হয় তবে সেটা নিজেদের পর্যন্তই রাখা ভালো। বন্ধুর কাছে খুলে বলা সঙ্গীর জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। একান্ত যদি কোনো তথ্য বা পরামর্শ করার প্রয়োজন থাকে তবে তা সঙ্গীকে জানিয়ে নেওয়া ভালো। অন্তত কতটুকু পর্যন্ত বললে সঙ্গী বিব্রত হবে না এটা জেনে নেওয়া উচিত।
সঙ্গীর আয় এবং ব্যয়: অনেক মানুষই অর্থনৈতিক আলোচনা করতে ভালোবাসেন। তবে এই ধরণের আলোচনায় ঘরের তথ্য বাইরে চলে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কে কতটা আয় করল এটা কাউকেই জানানো ঠিক নয়। সঙ্গীরটা তো বটেই, নিজেরটাও নয়।
যার সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে সেও এই আলোচনা পছন্দ না করতে পারে। কার আয় বা ব্যয় কতটা এটা হঠাৎ না বুঝে কারও সামনে আলোচনা করলে সেও বিব্রত হতে পারে।
সঙ্গী যদি বলতে বারণ করে: সঙ্গী কোনো কথা বলে সেটা কাউকে বলতে মানা করলে অবশ্যই তা গোপন রাখা উচিত। প্রতিটা মানুষেরই মনের ভার হালকা করার প্রয়োজন হয়, কখনও কখনও গোপন সমস্যার সমাধানের জন্য হলেও কাউকে না কাউকে জানানোর প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য যিনি আসলেই সমাধান জানেন তাঁর সঙ্গে আলাপ করতে। যে কারও সঙ্গে সমস্যা আলোচনা করতে থাকলে তা আর গোপন থাকবে না। ঘুরে ফিরে যখন সেটি আবার সঙ্গীর কানেই যাবে তখন তাঁর বিশ্বাস ভঙ্গ হবে। একবার যদি সম্পর্কে বিশ্বাস ভঙ্গের ঘটনা ঘটে তবে তা ফিরে পাওয়া বেশ কঠিন।