আন্তরিকতাই কাটাবে একঘেঁয়েমি

একই ছকে বাঁধা জীবন, কাজের ব্যস্ততা সারাবেলা ছুটোছুটি- সবকিছু মিলিয়ে দৈনন্দিন জীবনের একঘেঁয়েমিতে হয়তো আক্রান্ত হয়ে পড়েছে আপনার সম্পর্ক। বাড়ছে ঝগড়াঝাঁটি কিংবা ভুল বোঝাবুঝির মতো ব্যাপার। পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে প্রতিদিনের এই কলহের বিশিয়ে উঠছে জীবন।
আপনার একটু আন্তরিকতা পারে এই একঘেঁয়েমি কাটাতে। জেনে নিন সম্পর্কের একঘেঁয়েমি কাটানোর কিছু উপায়-
কর্মব্যস্ততা থেকে বিরতি নিয়ে উন্মুক্ত পরিবেশে গেলে মন ফুরফুরে হয়ে যায়। তাই ভ্রমণ হতে পারে আপনার চিন্তামুক্ত থাকার একটি ভালো উপায়। আপনি ও আপনার সঙ্গী ভ্রমণে যেতে পারেন। এক সঙ্গে মন খুলে পরিকল্পনা করুন। যেখানেই বেড়াতে যান না কেন সুন্দর মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে ভুলবেন না!
সবুজ ছায়াঘেরা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে কে না ভালোবাসে! আর এটা যদি হয় ঘরের আঙ্গিনায় তাহলে তো কথাই নেই। যদি আপনার বাসার সামনে কিংবা ব্যালকনিতে জায়গা থাকে, তাহলে বাগান করতে পারেন। এখানে কিছু সময় কাটান দেখবেন ভালো লাগবে।
গান মনকে শান্ত করে। অনেটা মেডিটেশনের মতই। শুনতে পারেন পছন্দের কোনও গান। বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারলে সেটাও আপনাদের স্বস্তি দেবে।
হয়তো প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিন বাইরে খেতে যান। তাও আবার একই জায়গায়! একদিন হঠাৎ করে পরিকল্পনা করে ফেলুন অন্য কোথাও খেতে বা ঘুরতে যাওয়ার। সেটা হতে পারে কাজের ব্যস্ততার মাঝেই একটু সময় বের করে। এই নতুনত্ব পছন্দ করবে আপনার সঙ্গী।
জন্মদিন কিংবা কোন উপলক্ষে তো সারপ্রাইজ দেওয়া হয়ই। তবে সাধারণ একটি দিনে সারপ্রাইজ নিশ্চয় আশা করবে না আপনার সঙ্গী! প্রিয়জনকে হঠাৎ চমকে দিয়ে সাধারণ একটি দিনকেও বিশেষ করে তুলুন। গতানুগতিক জীবনে আসবে ভিন্নতা।
কোথাও ঘুরতে বা খেতে গেলে ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন না। সময়টুকু কেবল সঙ্গীকেই দিন। অফিসের কাজ বা অন্য কোন কাজের ব্যস্ততা না দেখিয়ে মন দিয়ে কথা শুনুন এবং বলুন। এই মনোযোগ সম্পর্কের মান অভিমান কাটাবে।
প্রিয়জনকে চমকে দেওয়ার জন্য বিশেষ কোন আইটেম রান্না করে ফেলতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে খুব ভালো রাঁধুনি হতে হবে এমন নয়। তবে রেসিপিটি যেন একদম নতুন হয়।