English Version
আপডেট : ৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০৪:০২

বাসরঘরে যাবার আগেই যা করা দরকার

অনলাইন ডেস্ক
বাসরঘরে যাবার আগেই যা করা দরকার

বিয়ে আর বাসরঘর জীবনে একবারই।  তবে জীবনে অনেকেই এমন স্বাধ বহুবার নেন। কিন্তু তা চরিত্র ও স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট হানিকর।  দাম্পত্ত জীবনে নিজেকে শুরু থেকে যারা গুছিয়ে নিতে পারেন তারা সারা জীবনই আনন্দে থাকবেন গুণীজনরা এমনই বলেন।   ধরুন, আপনার গায়ে হলুদ-বিয়ে আর বৌভাতের ডেট ঠিক করা হয়ে গেছে। এবার আনুষ্ঠানিকতার শুধুমাত্র তিনবার ‘কবুল’ বলার।   এখন আপনার কিছু জরুরী কাজ আছে জেনে নিন সেই কাজ গুলো কি?

প্রথম কাজ: আত্মবিশ্বাসী হোন৷ অযথা ডাক্তারের কাছে দৌড়াবেন না। টিন-এজে স্বমেহনের কারণে অনেকেই অপরাধবোধে ভোগে, মনে শঙ্কা তৈরি হয় শারীরিক ভালোবাসায় পারংগমতা দেখাতে পারবে কিনা। অনেকে দৌঁড়য় ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবে না তা নয়। তবে যদি নিজের দৈহিক সুস্থতা থাকে আর পুরুষাংগের প্রাত্যহিক উত্থান (সকালে, যাকে “মর্নিং গ্লোরী” বলা হয়।) হয় তবে ভয়ের কিছু নেই। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার রিস্ক হচ্ছে অনেকে এই সুযোগে টু-পাইস কামানোর ধান্ধায় আপনার উল্টো ক্ষতি করে দিতে পারে। অনেকে আবার ইউনানীর মত ফ্রডের কাছে যান, ওখানে গেলে নাকি লাইফ হেল করে দেয়।তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় আমলে আনা হয় না, সেটা হল ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন। ইউরিন ইনফেকশন হয় কিছু ব্যাকটেরিয়ার কারণে এবং পুরুষরা এটাতে আক্রান্ত হয় টয়লেট ব্যবহারের মাধ্যমে। পুরুষদের সবাইকে কম-বেশি পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। ইউনি’র হল-অফিসের টয়লেটকেও পাবলিক টয়লেট হিসেবে ট্রিট করুন এখানে। এসব টয়লেট নানা ধরনের মানুষ ব্যবহার করে। এবং অনেক টয়লেটেই জলের সুব্যবস্থা থাকে না। এদের মধ্যে কারও যদি ইনফেকশন থেকে থাকে তবে সে টয়লেট ব্যবহারের পর ভালোভাবে জল না দিয়ে গেলে, বা নতুন ব্যবহারকারী জল দিয়ে ফ্লাশ না করে ব্যবহার করলে প্যানে থাকা ব্যাক্টেরিয়া আক্রমন করে। এভাবেই জল ইউজ না করলে ইনফেকশন হয়। এটা একটা “যৌনবাহিত রোড (STD)”, এবং স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীরা এটা পেয়ে থাকে। তাই যদি আপনি প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা পেইন অনুভব করেন তবে বিয়ের আগেই একবার টেষ্ট করুন, থাকলে ব্যবস্থা নিন। মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী আক্রান্ত হলে প্রেগন্যান্সির সময় এটা এক্সট্রা টেনশন এড করবে। হাই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে তখন।

দ্বিতীয় কাজ: যৌনমিলনের সেফ পিরিয়ড নিজে জানুন, হবু বধুকে জানান। সেফ পিরিয়ড মানে যে সময় কোন প্রতিরোধক (কনডম বা এ জাতীয়) ছাড়াই দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন, অ্যাক্সিডেন্টলি গর্ভবতী হওয়ার ভয় থাকবে না। এটা অনেকেই জানেন, আবার একটু রিভাইস করে নিন। মেয়েদের পিরিয়ডের সঙ্গে সেফ পিরিয়ডের সম্পর্ক। ধরলাম কোন মেয়ের পিরিয়ড হয় ৩০ দিন পর পর (কম বেশিও হতে পারে) এবং এই মাসে তার পিরিয়ড শুরু হয়েছিল ১ তারিখে। তার আগের মাসেও ১ তারিখে। এটাকে এক সাইকেল বলা হয়। নরম্যালি ওভুলেশন হয় সাইকেলের মাঝামাঝি সময়ে, ধরলাম ১৪ দিনে। তাহলে ১৪ তারিখে ওভুলেশন হচ্চে। এই ওভুলেশনের হওয়ার আগের এক সপ্তাহ ও পরের এক সপ্তাহ ফার্টাইল বা উর্বর সময়। এসময়ে প্রোটেকশন না নিলে গর্ভবতী হবেই। তাহলে মাসের ৭ তারিখ থেকে ২১ তারিখ প্রোটেকশন ছাড়া এগোনো যাবে না। বাকি সময় সেফ, থিওরিটিক্যালি কোন প্রোটেকশনের দরকার নেই। এটা ন্যাচারাল পদ্ধতি, তবে সমস্যা হলো পিরিয়ডে ডেট বিয়ের পর বদল হতে দেখা যায়। এবং অনেকের ক্ষেত্রে সাইকেলটাও স্ট্যাবল থাকে না। তাই সাইকেল স্ট্যাবল না হওয়া পর্যন্ত প্রোটেকশন নেওয়াই উচিত। যদি দ্রুত বাচ্চা নেওয়ার প্ল্যান না থাকে, তাহলে প্রোটেকশন নিয়েই শুরু করতে হবে। নো হান্কি পান্কি। তবে কখনই প্রথম বাচ্চা হওয়ার আগে আপনার স্ত্রীকে বার্থকন্ট্রোল পিল খাওয়াবেন না। এটা স্বাভাবিক ডেলিভারিতে সমস্যা তৈরি করে থাকে বলে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে।

তৃতীয় কাজ: জানুন প্রি-ম্যাচ্যর ইজাকুলেশন কি? প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন মানে খুব দ্রুত বা সময়ের আগেই বীর্যপাত। সময়ের আগে মানে পার্টনারের অর্গাজমের আগেই আর দ্রুত সময় মানে ১.৫ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে। অধিকাংশ পুরুষই (৯০-৯৫%) জীবনের প্রথম যৌনাভিজ্ঞতায় প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনের সম্মুখীন হয়। প্রথম দিকে এটা নরমাল, এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা ঠিক হয়ে যায়। কেন হয়? প্রথমেই দু’টো কারণ আসবে, অনভিজ্ঞতা ও অতিরিক্ত উত্তেজনা। অনভিজ্ঞ একজন পুরুষ তার প্রথম সেক্সের সময় প্রচন্ড উত্তেজিত থাকে। উত্তেজিত অবস্থায় নারী সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক খেলায় মেতে উঠার সময় থাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে, অল্প সময়ে বেশি পথ বিচরনের চেষ্টায় নিজের উপর কন্ট্রোল থাকে না। পাশাপাশি প্রবেশ করানোর পর যোনীর ভেতরের উচ্চ উষ্ণতায় দিশেহারা হয়ে যায় অনেক সময়ই। ফলাফল খুব অল্প সময়েই নারী সঙ্গীর অরগাজম হবার আগেই বীর্যপাত। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে আসবে “টেনশন”। নতুন বিয়ে বা সম্পর্কে নিজেকে শারীরিক ভাবে সামর্থবান হিসেবে তুলে ধরতে চাওয়ার মানসিক চাপ থেকে সৃষ্টি হয় টেনশন, ফলে নিজের উপর কন্ট্রোল থাকে না। তৃতীয় কারণ হল “সঙ্গিনীর তৈরি না হওয়া”। প্রথম দিকে শান্ত ও ধীর-স্থির ভাবে সঙ্গিনীকে উত্তেজিত করার কাজটা অধিকাংশ পুরুষই করে না। ধরে নেয় তার নিজের মতই তার সঙ্গিনীও উত্তেজিত হবে। ঘটনা উল্টো। মেয়েদের উত্তেজিত হতে পুরুষদের চেয়ে বেশি সময় লাগে। তাই সে তৈরি হবার আগেই পুরুষ সঙ্গী উত্তেজনার চরমে পৌছে যায়। ফলাফল অকাল বীর্যপাত। সমাধান, অনভিজ্ঞতার সমস্যা সমাধানের দরকার নেই, এই খেলায় অভিজ্ঞতা কাম্য নয়। বাকি থাকলো অধিক উত্তেজনা ও টেনশন। নতুন বিয়ে, প্রথমবার কাছে পাওয়া, উত্তেজনা তো থাকবেই। এটা আপনার উপর এখন, অধিকাংশ পুরুষই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, যদি আপনি পারেন তাহলে “স্যালুট”। না পারলে কোন সমস্যা নেই। আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন এটা পেপারে বা টিভিতেও আসবে না। তাই যা স্বাভাবিক তাই হোক। টেনশন কীভাবে দুর করবেন? প্রথমে ভাবুন আপনাকে কি আপনার সঙ্গিনীর সামনে নিজেকে বিশাল কিছু-প্রচন্ড সামর্থবান প্রমান করতে হবেই? নাকি স্বাভাবিক একজন মানুষ হিসেবে? যাই করুন না কেন আপনার স্ত্রী আপনারই থাকবে। সুপারম্যানের প্রতি মুগ্ধতা থাকে, ভালোবাসা থাকে না, আপনি সুপারম্যান হতে চাইছেন কিনা নিজেই ভাবুন। আর ‘‘সঙ্গিনীর তৈরি না হওয়ার’’ দোষটা পুরোপুরি পুরুষের উপর বর্তায় না। পুরুষকে ধৈর্য্য ধরে স্ত্রীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে হবে, শরীরের স্পর্শকাতর অংশগুলোতে কোমলভাবে স্পর্শ করে বা ঘষে, কিস করে। ব্যাকনেক, কানের আশে-পাশে, ঠোট-জিহবা, স্তন-নিপল, তলপেট-নাভী, যৌনাঙ্গ-উরু, হাত-পায়ের আঙ্গুল ইত্যাদি স্পর্শকাতর স্থান বলে পরিচিত। স্ত্রীর নিজেরও দায়িত্ব থাকে এ চেষ্টায় সাড়া দেওয়ার। এক হাতে তালি বাজে না।

চতুর্থ কাজ: কনডম সম্বন্ধে জানুন। বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের কনডম প্রচলিত আছে। সব ব্র্যান্ডেরই কম বেশি নানা টাইপ/ফিচারড কনডম বাজারে পাওয়া যায়। যেমন, ডটেড, এক্সট্রা রিবড, সেন্টেড, প্লেইন, থিন, এক্সট্রা থিন, কন্ট্যুরড, লংলাস্টিং, ডটেড প্লাস রিবড, এক্সট্রা লং ইত্যাদি। এগুলি একেকটা একেক সময়ে/পর্যায়ে কার্যকর। সব সবার জন্য না৷ সব সময়ের জন্যও না।এক নতুন ব্যবহকারীর ক্ষেত্রে প্লেন অথবা ডটেড কনডম শুরু করার জন্য আদর্শ। অর্থ্যাৎ জাস্ট প্রোটেকশনের জন্য। এক্সট্রা ফিচারড কনডম গুলি শুরুতে ব্যবহার না করা ভালো, এতে প্রথমেই এক্সট্রা ফিচারডে অভ্যাস হয়ে গেলে কনডম ছাড়া বা সাধারণভাবে এত ভালো লাগবে না। এই কনডমগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। কীভাবে কনডোম ব্যবহার করবেন: এটা খুব কঠিন কিছু না। কনডোমের প্যাকেটে লেখা থাকে ইন্সট্রাকশন। ফলো করলেই হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ভিতরে কোন বাতাস না থাকে, তাই কনডোমের টিপটা চেপে ধরে কনডম পড়তে হয়। বাতাস থাকলে সেক্সের সময় কনডোম ফেটে যেতে পারে৷ তাতে প্রোটেকশনের কাজ আর হলও না।এখানে পাবেন কীভাবে কনডম পড়তে হবে।

পঞ্চম কাজ: রোমান্টিক হোন৷ চিন্তা-চেতনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। বিয়েটা শুধু সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে শারীরিক মিলনের অনুমোদন না৷ মনের মিলনের অনুমোদনও। ভালোবাসার এমন সহজ সুযোগ আর কোন সিস্টেমে নেই। তাই ভালোবাসুন৷ সুযোগকে কাজে লাগান। শরীরকে শুধু প্রাধান্য না দিয়ে মনের কথাও ভাবুন। একটা মানুষ সব ছেড়ে আপনার কাছে আসছে৷ এটা অনুভব করার চেষ্টা করুন৷ দেখবেন মনটা তার জন্য এমনিতেও নরম হয়ে আসছে। রোমান্টিক হোন৷ কবিতা পড়ুন৷ দু’একটা তার সামনে কোট করুন৷ রোমান্টিক গান শুনুন। গুনগুন করে গাইতে চেষ্টা করুন। বিয়ের পরে বাসর ঘরে প্রবেশের সময় যেন সানাই বাজে সেই ব্যবস্থা করুন। রুমে ফুল রাখুন, হালকা সুগন্ধী ব্যবহার করুন, ডিমলাইট ব্যবহার করুন রাতে। কেয়ার করুন প্রথম দিন থেকেই৷ তাই বলে দৃষ্টিকটুভাবে পিছু পিছু ঘুরে বেরিয়ে তাকে সবার সামনে অস্বস্তিতে ফেলবেন না। ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করুন। একলা থাকার অনুভুতিটা প্রথম কয়েকদিন যেনও না পায়৷ সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বাইরে যাচ্ছেন৷ সে তৈরি হল৷ বলে দিন “খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে”। ন্যাকামি না করেই বলে দিন তার সৌন্দর্যে আপনার মুগ্ধতার কথা৷ প্রকাশ করুন ভালোবাসার কথা৷ তবে লাউড স্পিকারে না৷ একান্ত ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে। আর বাইরে যাওয়ার ৩-৫ ঘণ্টা আগে জানিয়ে দিন কখন বেরতে চান৷ নিজে তাড়া দিন যেনও তৈরি হয়। না হলে শাড়ি-গহনা চুজ করা-সাজগোজ করাতেই রাত হয়ে যাবে। শারীরিক মিলনের শুরুতেও ভালাবাসার প্রকাশ রাখুন৷ রোমান্টিকতা আগে৷ পড়ে পেরেক মারার কাজ।বাসর রাতে রোমান্টিক আলাপ দিয়েই শুরু করুন৷ এরপর ভবিষ্যত স্বপ্ন আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা৷ পারিবারিক বিভিন্ন রীতি-নীতির কথা স্বাভাবিক টোনে বলে যান। জোর করার কিছু নেই৷ শুধু জানিয়ে দিন এসব দরকারি ব্যাপার। মন ভালো হলে সংসারের খারাপ চাইবে না সে। হানিমুনের জন্য এক্সট্রা কিছু টাকা আগেই আলাদা করে রাখুন। বিয়ের ডামাডোলে সব টাকাই খরচ হয়ে যায়৷ তাই সাবধান। খুনসুটি করুন৷ মজা করুন৷ নরমাল ও ১৮+ কৌতুক গুলি বলার জন্য একজন রেডিমেড শ্রোতা পেয়ে গিয়েছেন৷ কাজে লাগান। তবে বোকার মত নিজে অতীতে কি করেছেন৷ আপনি কত বাহাদুর তা একের পর এক না বলে গিয়ে তাকেও বলতে দিন। তার মজার কথাগুলি বাবা-মা-ভাই-বোন-বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে অভিজ্ঞতা বলার সুযোগ দিন। আপনি নিশ্চিত জেনে যাবেন তার পছন্দ-অপছন্দ-ভালো লাগা-দুর্বলতা। দুজন দুজনকে আবিস্কার করুন। জীবন আপনাদেরই ভালোভাবে আপনাদেরই শুরু করতে হবে। তাকে বিশ্বাস করুন ১০০%। চিন্তা ভাবনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। এটা আনন্দময় বিবাহিত জীবনের মুলমন্ত্র। বিবাহিত জীবনে অনেক সময়ই একঘেয়েমি চলে আসে। মন ও শরীর দুই ক্ষেত্রেই। বৈচিত্র্যতা আনুন দুই ক্ষেত্রেই। ঘুরতে যান, সিনেমা দেখুন। সেক্সের জন্য নানা রকম আসন ট্রাই করুন৷ নানা ধরনের কনডম ট্রাই করুন। অনেক সময় ভালো মানের পর্ন ছবিও যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনতে সাহায্য করে।

ষষ্ঠ কাজ: এন্টাসিড/ইমোটিল/ফ্ল্যাটামিল/ইনো সল্ট কিনে রাখুন। বিয়ে মানেই খাওয়া দাওয়া৷ জোর করেই খাওয়াবে। তেল-মসলার রকমারি। পেট কিন্তু বিদ্রোহ করে বসতে পারে। বদহজম কমন একটা ব্যাপার। এই ক্ষেত্রে ইনো সল্ট বা ফ্ল্যাটামিল খুব কাজে দেয়। মনে রাখবেন, পেটে শান্তি না থাকলে সেক্স করতে ইচ্ছেও করবে না। এসিডিটির সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে৷ তার ব্যবস্থা নিন।

সপ্তম কাজ: মিষ্টি-ফল-দুধ-ডিম খান বেশি করে। সহবাসের পরেই মিষ্টি-মধু-দুধ-ডিম বা বিভিন্ন ধরনের ফল খান। প্রথম দিকে ক্লান্তিটা বেশি আসবে৷ তাই এসব শক্তিদায়ক খাবার সঙ্গে রাখুন। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে এত কিছু লাগবে না। বিয়ের আগের কয়েকদিন অযথা রাত না জেগে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অন্তত দিনে ৬ ঘণ্টা যেনও পূরণ হয়। নতুন জীবন সুস্থ-সবল ভাবে শুরু করুন। সংগৃহিত:অনলাইন