English Version
আপডেট : ২৬ মার্চ, ২০১৬ ১৮:৩১

ফোন সেক্সের কিছু কথা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফোন সেক্সের কিছু কথা

ব্যস্ততা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন দম্পতিরা। কেউ কেউ চলে যাচ্ছেন দেশের বাইরে। আবার দেশে থেকেও সময় মিলছে না অনেকে। তাই অনেকের যৌন চাহিদা মেটানোর নতুন এক কৌশল হলো ফোনসেক্স। অবশ্য ফোন সেক্সের অনেক কুপ্রভাব সমাজে বিদ্যমান। এর দ্বারা অনেক অপরাধ সংঘটিত হয়।

কিন্তু অপরাধ না করে সঠিক কাজে প্রযুক্তি ব্যাবহার করলে তাকে কি খারাপ বলা যায়? যৌন বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফোন সেক্স সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ফোন সেক্স বিষয়টা উন্নত দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে এদেশেও পৌছে গেছে। তরুণসমাজ থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যাক্তিরাও ফোন সেক্সে জড়িয়ে পড়ছেন। এই জেনারেশনের মধ্যে ক্রমশই বাড়ছে ফোন সেক্স। সেক্সটিং আর সাইবার সেক্স। এক সময়ে যা শুধুমাত্র প্রফেশনাল ফোন সেক্স অপারেটরদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তা এখন ঢুকে পড়েছে সমাজের সব স্তরেই। 

প্রেমিক প্রেমিকারা বহুকাল ধরেই রাত জেগে ফোনে কথা বলতে অভ্যস্ত। এখন রাত জেগে কথার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে শুধু কিছু শব্দ দিয়ে পরস্পরের শরীরকে ছুঁয়ে দেখার উন্মাদনা ক্রমশ বাড়ছে। ১৫-১৬ থেকে শুরু করে পঞ্চাশোর্ধ্ব ভারতীয়রা ক্রমশই আপন করে নিচ্ছেন এই অভ্যাস। 

কিন্তু প্রশ্ন হল, ফোন সেক্স কি খারাপ? নামকরা বহু বিশেষজ্ঞই বলছেন একেবারেই না। বরং স্বামী স্ত্রী বা প্রেমিক প্রেমিকা দু’জন দু’জনের থেকে অনেকটা দূরে থেকেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখছেন ফোন সেক্সের উপরে নির্ভর করেই। ফোন সেক্স আছে বলেই অনেকে আলাদা আলাদা শহরে থেকেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন না। তারা ফোনে যৌনতা উপভোগ করছেন। 

ফোন সেক্সের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য কল্পনা প্রবণতা। সাইবার সেক্সে দু’জন মানুষ পরস্পরের নগ্ন শরীর বা গোপনাঙ্গকে দেখে উত্তেজনা অনুভব করেন। অথচ ফোন সেক্সে এই দেখা টাই নেই। শুধুমাত্র কিছু কথা বা শব্দ একে অপরকে বলা আর তা থেকেই নিংড়ে নেওয়া যৌনসুখ। একটু ভেবে দেখলে বোঝা যায়, কতটা মস্তিষ্ক নির্ভর এই খেলা। এখানে শরীর নয়। জয় কিন্তু মনেরই।