English Version
আপডেট : ১৭ মার্চ, ২০১৬ ০৯:৪৭

ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্মই কী মিথ্যা?

অনলাইন ডেস্ক
ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্মই কী মিথ্যা?

পিসটিভি বাংলার নিয়মিত আয়োজন প্রশ্নোত্তর পর্বে ডা. জাকির নায়েককে আনিছুর রহমান সুমন নামে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেন, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তা’য়ালা নিজেই ঘোষণা করেছেন যে, আল্লাহর কাছে মনোনীত একমাত্র ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।  কিন্তু প্রশ্ন হলো পৃথিবীতে বর্তমানে ইসলাম ছাড়াও অনেক ধর্ম প্রচলিত রয়েছে।  যেমন বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫-২০ শতাংশ মুসলমান আর অধিকাংশ মানুষই মূর্তিপূজা করে।তাহলে অন্য সব ধর্ম কি মিথ্যা?

এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. জাকির নায়েক বলেছেন, ইসলামে সংখ্যাগুরু দিয়ে সত্যকে মাপা যায় না। ইসলাম সবার ওপরে সত্যকে বিশ্বাস করে। কয়েকশ’ বছর আগেও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করত পৃথিবী সমতল। তাহলে পৃথিবী কি সমতল? না। তাহলে বেশির ভাগ মানুষেরই ভুল হতে পারে।

সূরা ইসরার ৮১ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বল! সত্য উপস্থিত হয়েছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে।  মিথ্যা প্রকৃতগত কারণেই বিলুপ্ত হবে।’

আপনি আমেরিকা যান সেখানে দেখবেন অধিকাংশ মানুষ নীলছবিতে বিশ্বাসী। অথচ আপনি এটাকে বিশ্বাস করেন, করেন না।  কিন্তু পশ্চিমাবিশ্বের অধিকাংশ মানুষই নীলছবিতে বিশ্বাস করে।  তাহলে কি আপনি ভুল বিশ্বাসে আছেন? অবশ্যই না।  আল্লাহ তা’য়ালা চাইলে পৃথিবীর সব মানুষকে মুসলিম বানাতে পারতেন।

তিনি ‘কুন’ (হও) বললেই (ফাইয়াকুন) হয়ে যেত।  কিন্তু এ জীবনটা হচ্ছে পরকালের জন্য পরীক্ষা।  আল্লাহ যদি চাইতেন পৃথিবীর কোনো মানুষ মূর্তি পূজা করবেন না তাহলে তো আর পরীক্ষা থাকল না।  পরীক্ষাটা হচ্ছে, আল্লাহ আপনাকে কিছু আইন দিয়েছেন- সেটা মানা না মানা আপনার ব্যাপার।  

আর যেসব মানুষ মূর্তি পূজা করে তারা তাদের নিজেদের ধর্মই মানছেন না। কারণ কোনো ধর্মেই মূর্তিপূজার কথা বলা হয়নি।  মানুষই এগুলো বানিয়ে নিয়েছে।  হিন্দু ধর্মের ধর্মগ্রন্থ বেদেও মূর্তি পূজার কথা বলা হয়নি। গৌতম বৌদ্ধও কখনো মূর্তি বানাতে বলেননি। খ্রিস্টান ধর্মের ওল্ট স্টেটম্যানেও মূর্তি পূজার কথা বলা হয়নি।

তারপরও যদি কেউ মূর্তি পূজা করে তাহলে কি সে সত্য হয়ে গেল? কেউ যদি কাল নবী মুহাম্মদ (সা.) -এর মূর্তি বানিয়ে তাঁর পূজা করে আমি বলব সেটা ভুল। কারণ নবী মুহাম্মদ (সা.) কখনোই তার মূর্তি বানাতে বলেননি।

অতএব কেউ যদি ভুল কাজ করে থাকে সেটা কখনই সত্য হয়ে যায় না- চাই তারা সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু।  তাই কেউ কোন ধর্ম মানতে গেল অনুসারীদের দেখবেন না।  আমি বলব- সে ধর্মের ধর্মগ্রন্থকে দেখুন। কোরআন দেখুন।