যোনির দুর্গন্ধ অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। সব মেয়েকেই এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শুধুমাত্র কোনও রোগ নয়, আরও বহু কারণে এ দুর্গন্ধ হতে পারে।

যেসব কারণে যোনির দুর্গন্ধে ভোগেন মেয়েরা তা হল- 

যোনির দুর্গন্ধ মূলত হয় এক ধরনের রোগের ফলে যার নাম ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস। এর ফলে যোনি থেকে এক বিশেষ ধরনের দুর্গন্ধযুক্ত ডিসচার্জ হয়।

বহু মেয়েদের কিছু বিশেষ ধরনের কন্ডোমে অ্যালার্জি থাকে। পার্টনারের কন্ডোম থেকে যোনি ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয় এবং দুর্গন্ধ ছড়ায়।

ভ্যাজাইনাতে ভাল এবং খারাপ দু’ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। বাজারের ভ্যাজাইনাল ওয়াশ অতিরিক্তি পরিমাণে ব্যবহারের ফলে ভাল ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে গিয়ে খারাপ ব্যাকটেরিয়া যদি থেকে যায় তবে তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়।

অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে ঘাম জমেও যোনি ও তার চারপাশে দুর্গন্ধ হতে পারে। খুব বেশি টাইট অন্তর্বাস যেমন স্প্যানডেক্স-এর বডি শেপার ইত্যাদি দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে তা থেকে ঘাম, স্কিন র‌্যাশ এবং ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয় যোনি। যথারীতি দুর্গন্ধ হয়।

সারারাত প্যান্টি পরে ঘুমোলেও দুর্গন্ধ হতে পারে, বিশেষ করে গরমকালে। ক্ষতিকারক কেমিকাল দেওয়া বডিওয়াশ বা সাবান থেকেও দুর্গন্ধ করে। অন্তর্বাস কাচার সময়ে যদি সাবান ভাল করে না ধোয়া হয় তার থেকেও স্কিন র‌্যাশ এবং দুর্গন্ধ হতে পারে। যৌনকেশ খুব ঘন হলে নানা ধরনের ত্বকের রোগ হতে পারে এবং ঘাম বসে দুর্গন্ধ হতে পারে।

সুতির অন্তর্বাস না পরে দীর্ঘ সময় কমদামি সিন্থেটিক ফেব্রিকের অন্তর্বাস পরলেও তা থেকে দুর্গন্ধ হতে পারে। খুব বেশি ঝালমশলা দেওয়া খাবার খেলে যোনি থেকে আকস্মিক ডিসচার্জ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা থেকে দুর্গন্ধ হয়।

যৌনতার পরে যোনি ভাল করে না ধোয়া হলে সিমেনের অবশেষ থেকেও যোনিতে দুর্গন্ধ হয়। রসুন, পেঁয়াজ, অ্যাসপ্যারাগাস, কফি, মদ ইত্যাদি অতিরিক্ত খেলেও যোনিতে দুর্গন্ধ হতে পারে।  এছাড়া যৌনরোগ থেকেও যোনিতে দুর্গন্ধ হতে পারে। খবর এবেলা।