যৌবন চলে যাচ্ছে কিন্তু মনের মানুষটিকে বিয়ের কথা বলতে পারছেন না। কারন আপনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না যে কিভাবে বিয়ের প্রস্তাবটা দেয়া যেতে পারে। এর ফলে তার রিএ্যাকশন কি হতে পারে, প্রস্তাব মেনে নেবে কিনা –ইত্যাদি হাজারটা চিন্তা আপনাকে পেয়ে বসে। চিন্তা বাদ দিয়ে আসুন দেখে নেয়া যাক পাঁচটি টিপস।

১. আপনি কি বিয়ের জন্য তৈরি? প্রথমে ভাল করে ভেবে নিন আপনি আসলেই বিয়ের জন্য তৈরি কিনা। কারন যাকে আপনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন সে আপনার উপর নির্ভর করেই আপনার কাছে আসবে। সেক্ষেত্রে আপনার আয়ের উৎস, আয়ের পরিমাণ ইত্যাদি ভাল করে যাচাই করে নেবেন। কারন বিয়ে মানেই ব্যাচেলর লাইফ থেকে ঠিক বিপরীত নতুন এক জীবনে প্রবেশ করা। সেই নতুন জীবনের জন্য আপনি তৈরি কিনা সেটা আগে নিশ্চিত করুন। নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে কাছের কোন শুভাকাঙ্খীর সাহায্য নিন। যদি মনে হয় আপনার সঙ্গীনীকে নতুন জীবন শুরু করার ভরসা দিতে পারবেন তবেই প্রপোজ করার জন্য প্রস্তত হোন। নতুবা সে আপনার উপর আস্থা রাখতে পারবে না।

২. সঠিক আংটি নির্বাচন করুন: প্রপোজ করার ক্ষেত্রে কিন্তু আংটির গুরুত্ব অনেক। মেয়েদের এমনিতেই গয়নাগাটির প্রতি দূর্বলতা থাকে। তাদের বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে। বিয়ের এনগেজমেন্টে সে কি ধরনের আংটি পরবে সেটাও একটা স্বপ্ন বটে। তাই প্রপোজ করার আগেই কৌশলে জেনে নিন আপনার হবু বউ কি ধরনের গহনা পছন্দ করে। সে অনুযায়ী স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটি আংটি। তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে অনামিকায় পরিয়ে দিন সেই আংটি। আপনার প্রেমিকার জন্য এটা বিশাল এক সারপ্রাইজ হবে। আর বিয়েতে সম্মতি দেয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।

৩. সঠিক সময় নির্বাচন করুন: আপনি যদি বিয়ের প্রস্তাব দিতে চান তবে সময় নির্বাচন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারন সবসময় সবার মনের অবস্থা এক থাকে না। আপনার মনের মানুষ সারাদিন চাকরি করলে ক্লান্তির ফলে দিনশেষে মেজাজ এমনিতেই খিটখিটে থাকে। কিংবা ব্যাক্তিগত কিংবা পারিবারিক সমস্যায় ভূগলেও তাকে প্রপোজ করা ঠিক হবেনা। ব্যার্থ হবেন। তবে আরেকটি কথা, আপনার প্রপোজকে আরও রোমান্টিক করতে চাইলে মনের মানুষকে প্রপোজের দিনটি জানতে দিবেন না। তবে সব আয়োজন মাঠে মারা যাবে। আগেভাগেই কৌশলে জেনে নেবেন বালিকার মেজাজ মর্জি কেমন আছে। তারপর এগিয়ে যাবেন।

৪. সঠিক স্থান নির্বাচন করুন: শোনেন ভাই, আপনার মাথায় আজেবাজে চিন্তা না থাকলে এটা তো নিশ্চই মানবেন যে বিয়ে জীবনে একবারই। আর তাই প্রপোজ যদি একবারই হয় তবে তো সোনায় সোহাগা কি বলেন? আর প্রপোজ তো রাস্তাঘাটে করার বিষয় না। তাই মনের মানুষের কাছে থেকে তার পছন্দের জায়গা সম্পর্কে আগেই কৌশলে জেনে নিন। তারপর দিন স্থির করে তাকে নিয়ে একটা সারপ্রাইজ ভিজিটে চলে যান। আপনার মনের মানুষ খুশিও হবে আর প্রস্তাবে সম্মতি দেয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।

৫. প্রপোজ করার পদ্ধতি: উপরের কাজগুলো শেষ করে এইবার আসুন আসল কথায়। কিভাবে প্রপোজ করবেন মনের মানুষকে? এক্ষেত্রে আগে বুঝে নিন আপনার মনের মানুষ কেমন। সে খুব স্টেট ফরোয়ার্ড হলে সরাসরি বলুন “আমাকে বিয়ে করবে?” আরেকটু ক্রিয়েটিভ ভাবে প্রপোজ করতে চাইলে কোন একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান। কেকের উপর লিখে দিন “আমাকে বিয়ে করবে” কিংবা ইংরেজীতে লিখে দিন “উইল ইউ মেরি মি?”। তাকে একটি টি-শার্ট উপহার দিন যাতে লেখা থাকবে সেই কথা। তার প্রিয় কোন বই কিংবা শোপিসের বাক্সের উপর লিখে দিতে পারেন। তার সামনে ওভার অ্যাকটিং করবেন না। তার সাথে কোন সেলিব্রেটির তুলনা করবেন না। বেশী লাফালাফি করবেন না। তাহলে সে আপনার প্রস্তাবকে কম গুরুত্ব দিবে। একটু সাহিত্যক ভাবে বলতে পারেন “আমি তোমার সাথে সারাজীবন কাটাতে চাই, আমাকে তোমার সাথে নেবে?”