দাম্পত্য জীবনে লিভ ইনের যতো সুবিধা

সমাজের সনাতন ধারণা এবং রীতিকে একদিনে হুট করে তাড়িয়ে দেওয়া যায় না। আধুনিক চিন্তাধারায় এসব রীতি-নীতিগুলো একটু একটু করে পাল্টাচ্ছে। সমাজে এখনো পাশের বাড়ির ছেলেটি কিংবা মেয়েটি লিভ ইন করে এটা শুনলেই চোখ মাথায় তোলে। এ নিয়ে শুরু হয়ে যায় হাজারো সমালোচনা । সমাজ এখনও সহজভাবে মেনে নেয় না এই সম্পর্ককে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হুট করে বিয়ে করার আগে লিভ ইন করা ভাল। এতে ভবিষ্যতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেমও বাড়ে। লিভ ইনে অনেক সুফল আছে। তো বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন সেসব একটু দেখে নেওয়া যাক।
১. ভালবাসা আর সারা জীবন একটা মানুষের সঙ্গে কাটানো দু’টো আলাদা বিষয়। এই দু’টো গুলিয়ে ফেলবেন না। শুধু ভালবাসা থাকলেই হয় না। দু’জনে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করলে তবেই বোঝা যায় মানুষটির সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাতে পারবেন কি না।

২. বিয়ে মানেই প্রচুর ত্যাগ। বিশেষ করে মেয়েদের উপরে এর প্রভাব বেশি। একটা সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়াটাও যেমন কঠিন হয়ে পড়ে তার জন্য, তেমনি এক রাতের মধ্যেই নিজের পুরনো অভ্যাসগুলো ঝেড়েও ফেলতে হয়। বিয়ের আগে লিভ ইন করলে একে অপরকে বোঝাও অনেক সহজ হয়ে যায়। এতে আপনার অভ্যাসগুলোও পার্টনার আগে থেকে জেনে যাবেন। ফলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আপনাকে কোনও কারণে ভুল বুঝলে পার্টনার আপনাকে সাপোর্ট করবেন।
৩. এরপর আসা যাক খরচের প্রসঙ্গে। আপনারা দু’জনেই প্রতিষ্ঠিত। আপনাদের মাস গেলে রোজগারও হয়ত যথেষ্ট। কিন্তু তাতেই ভাববেন না যে বিয়ের পরেও আপনাদের জীবন ভাল ভাবেই কেটে যাবে। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিয়ের পরে খরচ অনেক বেড়ে যায়। তা ছাড়া যে টাকায় আপনারা আলাদা থেকে স্বাচ্ছন্দে কাটিয়েছেন, দু’জনের মিলিত রোজগারও কম পড়ে যাবে বিয়ের পরে। এক সঙ্গে থাকার খরচ এবং কতটাই বা সাশ্রয় করতে পারবেন, লিভ ইনে সেই ধারণা অনেকটাই স্পষ্ট হয়।
৪. প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু চাহিদা থাকে। একে অন্যকে বুঝে পার্টনারের চাহিদা পূরণ করাটাও অনেক সহজ হয়ে যায় লিভ ইনে।
৫. আর অবশ্যই যা আলোচনা থেকে বাদ দেওয়া যায় না তা হল —সেক্স লাইফ। যে কারণে অনেক সময় দীর্ঘ দিনের প্রেমের পরে বিয়ে এবং তার পরই বিচ্ছেদ। সুস্থ দাম্পত্য জীবনের জন্য আপনার যৌন জীবন কতটা সুখের হবে তা জানাটাও খুব জরুরি।