সব রাস্তাই প্রশস্ত করা হবে: জনি

ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৪নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিনের সমস্যা রাস্তা। এই ওয়ার্ডে বেশির ভাগ রাস্তাা অত্যন্ত সরু। তাই ১৪নং ওয়ার্ডের প্রায় সব রাস্তাই প্রশস্ত করা হবে। ইতিমধ্যে ২ কিলোমিটার ২৪ ফুট এবং ৫ কিলোমিটার ১৬ ফুট রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। কিছু কাজ শুরুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এবং বাকী রাস্তা পর্যায়ক্রম শুরু হবে। দ্যঢাকাপোষ্ঠডটকম প্রতিনিধির একান্ত সাক্ষাৎতে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড (মিরপুর) কমিশনার আলহাজ্ব হুমায়ূন রশীদ জনি। কমিশনার বলেন, আমাদের সস্পদ সীমিত কিন্তু অভাব ব্যপক। কিন্তু সরকারের সুপরিচালনায় এই সীমিত সম্পদ নিয়েও ব্যপক উন্নয়ন হচ্ছে বর্তমান সরকার আমলে। হুমায়ূন রশীদ বলেন, ১৪নং ওয়ার্ডে রাস্তা প্রশস্তসহ আরো বেশ কিছু কাজ গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য সেবন রোধে বিশেষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক নিয়ন্ত্রন প্রয়োজনে আরো কঠোর হব।
এ ওয়ার্ডকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত বিশেষ অভিযানে নামছেন তিনি নিজেই। অবশ্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জন্য এই ওয়ার্ডের জনগনকেও এগিয়ে আসার আহবান করেন কমিশনার।
পাশাপাশি যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে সিটি করপোরেশনের নিদিষ্ট স্থানে ফেলাও অনুরোধ করেন।
কমিশনার আরো বলেন, ইত্যিমধ্যে নিজ উদ্যোগে ৩০০টি ডাস্টবিন বক্স বসানো হয়েছে। আরো বসানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য মোড়ে মোড়ে পদ্মা ট্রাঙ্ক বসানো হযেছে। মশা নিধনে সপ্তাহে তিনদিন ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। পূর্বেও চেয়ে এ ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা কমেছে বলে জানান তিনি। কমিশনার বলেন, বঞ্চিত শিশু কিশোরদের বিকাশের জন্য ব্যপক কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে দুটি পাঠাগার মধ্যে একটি কাজ সম্পন্ন করেছি। এবং অপরটি কাজ সম্পন্নর পথে। তবে ১৪নং ওয়ার্ড জঙ্গীমুক্ত বলে দাবি করেন তিনি। এসময়ে কমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১৪নং ওয়ার্ডের তরুনদের জন্য ৩টি মাঠ ও জনগনের নানা অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার গঠনের প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি বলেন, আমি ছাত্রলীগের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নতুন চিন্তায় তারুণ্যের উদ্দীপ্ত সংগঠক হিসেবে কাজ করছি। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে বিশ্বের রোল মডেল মতেই আমি কাজ করছি। দেশের আইনজীবী, সাংবাদিক, অধ্যাপকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কর্মশালার মাধ্যমে মত প্রকাশ করছি নানাভাবে এ ওয়ার্ডে বলে জানান কমিশনার। তবে দ্যঢাকাপোষ্ঠডটকম প্রতিনিধির মাধ্যমে আবারও ১৪ ওয়ার্ডেও জনগনকে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ওয়ার্ডকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখবে। নিজের নির্বাচনী ইশতেহারে অনুসারে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও স্মার্ট ওয়ার্ড হিসাবে গড়ে তোলবে। এদিকে, হুমায়ূন রশীদ জনি ৫ই ফেরুয়ারি ১৯৭৬ সালে মুসলিম পরিবারে জন্মগুহন করেন। পিতা আলহাজ্ব অলি মিয়া। জনি ১৯৯৩ সালে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৫ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ২০০০ সালে কলকাতা ইউনিভাসিটি থেকে অর্নাস ডিগ্রী এবং ২০০১ সালে এশিয়ান ইউনিভাসিটি থেকে এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন। হুমায়ূন রশীদ ছাত্র জীবন থেকেই প্রগতিশীল ধারার ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। প্রতিটি গনতান্ত্রিক আন্দোলন এবং সংগ্রামে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। ২০০০ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ ১৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি এবং ২০০২ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি সৎ ও নির্ভীক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।