English Version
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৬ ০৪:০৪

যোগ্য সংগঠক করবে বেসিসের উন্নয়ন: মতিন

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান
যোগ্য সংগঠক করবে বেসিসের উন্নয়ন: মতিন

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) পরিচালন করতে যোগ্য সংগঠক প্রয়োজন। কারন যোগ্য সংগঠক করবে বেসিস কার্যক্রমের সঠিক উন্নয়ন বলে মনে করেন বেসিস নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবকো ওভারসিজ কর্পোরেশন লিমিটেডর সিস্টার কনসার্ণ এবকো আইটির চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়া।

চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, যোগ্যতার সঙ্গে অবশ্যই সংগঠকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে হবে। কারন অযোগ্য প্রাথী নির্বাচিত হলে উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ্য হবে বেসিস কার্যক্রম। এবং অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ সংগঠক দ্বারা বেসিসের কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন অসম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

আজ শনিবার বেসিস নির্বাচন। তাই আজ এ দিনটি প্রতিটি বেসিস সদস্যদের ভেবে চিন্তে তার ভোট প্রয়োগ করতে হবে। কারন এতেই রয়েছে বেসিসের সক্রিয় পথ চলা।

তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কার্যক্রম সফলসহ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করছে সরকার। সরকার ঘোষিত সুযোগ সুবিধার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে বেসিস সদস্যের উন্নয়ন লক্ষে কাজ করতে চাই।

পাশাপাশি সাংগঠনিক বেসিস কার্যালয়টিতে প্রত্যেকের সম্মান নিশ্চিত করে সদস্যদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও ব্যবসায়ের মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে আমি বিশ্বাসী।

আব্দুল মতিন ভূইয়া বেসিস নির্বাচনে নির্বাচিত হলে তার ভবিষ্যৎ কার্য পরিকল্পনা তুলে ধরেন দ্যঢাকাপোষ্ঠডটকমের কাছে -

* বেসিস কার্যালয়ে সকল সদস্যের সম্মান নিশ্চিত করবো। বেসিস সেক্রেটরিয়েট থেকে সদস্যদের ব্যবসার সুযোগ সংক্রান্ত সকল তথ্য তাৎক্ষনিক ভাবে সকল সদস্যকে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করবো। হোটেল লবিতে ব্যবসায়িক আলোচনার পরিবর্তে বেসিসকে সদস্যদের প্রাণকেন্দ্রে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করবো। সকল কোম্পানীর প্রোডাক্টের তথ্য বেসিস কার্যালয়ে আপডেট থাকবে।

* সিঙ্গাপুর, মালয়েশীয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, চীন, ইন্দোনেশীয়া সহ বিশ্বের অনেক দেশের নীতিমালায় ও আইনে বলা আছে পাবলিক প্রকিউরমেন্টের ৫০% দেশীয় কোম্পানী দিয়ে কাজ করাতে হবে। আমাদের দেশে বিদেশী অর্থায়নে সরকারী আইসিটি প্রকিউরমেন্টে বিদেশী দাতা সংস্থা গুলো এমন সব কঠিন শর্ত জুড়ে দেয় যা শুধু বিদেশী কোম্পানী গুলোর অংশ গ্রহনে সহায়তা করে এবং দেশীয় কোম্পানী গুলো অংশ গ্রহনে ব্যর্থ হয়। ফলে দেশীয় কোম্পানীগুলো কাজ পাওয়ার সুযোগ না থাকায় পুরো টাকাটাই বিদেশে চলে যায়। এটা দেশীয় শিল্পের বিকাশে বড় বাধা। তাই সরকারের সাথে এসোসিয়েশনের মাধ্যমে কথা বলে পাবলিক প্রকিউরমেন্টে দেশীয় কোম্পানী গুলোর ৫০% অংশ গ্রহন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নীতিমালা ও আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখার আন্তরিক চেষ্টা করবো।

* বিশ্ব ব্যাংক বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ১৭ দেশের মধ্যে রেখেছে। আমাদের সরকার তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিদেশী বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করছে। বিদেশী কোম্পানী গুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুক এটা আমরা চাই তবে সেক্ষেত্রে বিদেশী কোম্পনী গুলো দেশীয় কোম্পানীগুলোর সাথে ৫০% অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করবে। এই নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমাদের সরকারকে সম্মত করানের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করবো।

* প্রবীন ও প্রতিষ্ঠিত সদস্যদের অভিজ্ঞতা ও সুবিধা বঞ্চিত তরুণ, উৎসাহী, মেধাবী সদস্যদের আগ্রহ উদ্দিপনার সমন্বয় ঘটিয়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীতে আন্তরিক ভাবে ভূমিকা রাখবো। যেখানে কম বেশী সকল সদস্য ব্যবসার সুযোগ পাবে।

* আমরা আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে সফ্টওয়্যার রপ্তানীর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব সেজন্য তথ্য প্রযু্িক্ত ইন্ডাষ্ট্রিকে বাংলাদেশে আরো মজবুত ভীতের উপর দাড় করানোর লে ট্যাক্স-ভ্যাটের অযাচিত চাপ থেকে আপাতত: অব্যাহতি দেয়ার জন্য সরকারকে সম্মত করাতে কাজ করবো।

* টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের অনাকাংখিত চাকুরী বদল অনেক কোম্পানীকে অনেক সময় পথে বসিয়ে দেয়, ব্যবসায় দারুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কোম্পানী গুলো এ সমস্যা সমাধানে একটি আচরণ বিধি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহন করবো।

* বেসিসের সাথে তথ্য প্রযুক্তিখাতের সংশ্লিষ্ট সকল এসোসিয়েশের সাথে সমন্বয় সাধন করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে তথ্য প্রযুক্তি খাতের ব্যবসা সম্প্রসারনের উদ্যোগ গ্রহন করবো।

উল্লেখ্য, আব্দুল মতিন ভুঁইয়া ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতিতে বি এস এস এবং ১৯৮৭ এম এস এস সম্পন্ন করেন। বেসিস ছাড়াও তিনি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সদস্য, কুয়েত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সেক্রেটারী জেনারেল, কো-চেয়ারম্যান, ল এন্ড অডার,  এন্টি-স্মাগলিং স্ট্যান্ডিং কমিটি, এফবিসিসিআই, এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস বাংলাদেশ (আটাব) ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল, হজ্জ এজেন্সীস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সদস্য,   এফবিসিসিআই এর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি কো-চেয়ারম্যান, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)’র সদস্য।

এবকো ওভারসিজ কর্পোরেশন’র চেয়ারম্যান ছাড়াও আব্দুল মতিন ভুইয়ার অন্যান্য ব্যবসায়িক পরিচয় হচ্ছে, তিনি  এবকো ওভারসীজ কর্পোরেশন’র চেয়ারম্যান, আদিবা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল’র স্বত্বাধিকারী, মক্কা ঢাকা ট্রেড এন্ড টুরস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রূপান্তর প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, এক্সিলেন্ট কর্পোরেশন, বিজয় এন্টারপ্রাইজ ও এক্সিলেন্ট এক্সিবিশন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’র স্বত্বাধিকারী।