English Version
আপডেট : ৫ অক্টোবর, ২০২৪ ২২:১৫

ইরানে ৭ অক্টোবর পাল্টা হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইরানে ৭ অক্টোবর পাল্টা হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা হিসেবে ইরানে পরমাণু স্থাপনায় কোনো ধরনের হামলা না চালাতে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানের প্রতি সাড়া দিয়ে পাল্টা আঘাত না হানার কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি ইসরায়েল। এ অবস্থায় পরমাণু শক্তিধর হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা ইরানে যেকোনো সময় ইসরায়েল হামলা চালাতে পারে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তার বরাতে এমন তথ্য দিয়েছে সিএনএন।

ধারণা করা হচ্ছে ৭ অক্টোবর (সোমবার) হামাসের হামলার বর্ষপূর্তির দিনে তেহরানে আঘাত হানতে পারে তেল আবিব।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ডিফেন্স সেক্রেটারি মার্ক এসপার বলছেন, ইরানের শাসক গোষ্ঠীর পতন চাইলে রাজধানী তেহরানে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কার্যালয় টার্গেট করবে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ)। অন্যথায় দেশটির সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাবে ইসরায়েল।

ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে- দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমারা। এবার ফক্স নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেললগ বলেছেন, ‘তেহরান পরমাণু শক্তিধর হতে মাত্র ৪০ থেকে ৪৮ ঘণ্টার দূরত্বে রয়েছে।’

সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসের সাবেক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস জানান, ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে তার দেশ। কারণ তাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে যে ১৫টি বোমা বানানোর মতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ফেলেছে ইরান। তাই যে কোনো সময় পাল্টা হামলা হতে পারে।

এদিকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্ত ব্যুরো-এফবিআই ও ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এক যৌথ বিবৃতিতে সতর্ক বার্তা দিয়েছে বলেছে, ‘আগামী সোমবার যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে বিদেশি সন্ত্রাসীরা। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনালয়গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।’

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিতিশীলতা ঘিরে ওই অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে পেন্টাগন। ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে উপসাগরীয় অঞ্চলে রণতরি এবং ডেস্ট্রয়ার পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।