English Version
আপডেট : ৪ মে, ২০২৪ ২০:২২

বাইডেন প্রশাসনের আরও এক কর্মকর্তার পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক
বাইডেন প্রশাসনের আরও এক কর্মকর্তার পদত্যাগ

গাজায় ইসরাইল ও হামাসের যুদ্ধের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের নীতির কারণে পদত্যাগ করেছেন আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা হালা ররিট। ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলি বর্বর ও আমানবিক আচরণে আমেরকিার সর্মথনের কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

হালা ররিট বিগত ১৮ বছর ধরে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টে কাজ করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আরব ভাষার মুখপাত্র হিসাবে এতোদিন কাজ করেছেন।

তার এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তিনি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, কিছু মার্কিন নীতির জন্য “আরব বিশ্বের একটি প্রজন্ম ওয়াশিংটনের ওপর তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।”

তিনি আরো বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখায় সেটি একটি মানবিক সংকট তৈরি করছে এবং আরব বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরে কূটনীতিকরা আনুষ্ঠানিক নীতিমালার বিরুদ্ধে গিয়ে বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে ভয় পান। অথচ শক্তিশালী আলোচনাই সেখানে মূল আদর্শ হতে পারতো।

সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হালা ররিট বলেছেন, এই যুদ্ধের বিষয়ে দ্বিমুখী আচরণ দেখিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। যা গ্রহণযোগ্য নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্য দুই কর্মকর্তা, জোশ পল এবং অ্যানেল শেলাইনও একই কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সিনিয়র লেভেলে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ার চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো। এখনই পদত্যাগ করার ইচ্ছা ছিল না আমার।’

ইসরাইলের বিমান হামলায় ত্রাণকর্মী, শিশু এবং অন্যান্য বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার পরও বাইডনে প্রশাসন ইসরাইলকে ক্রমাগত অস্ত্র সরবরাহ করেছে। যুদ্ধের ফলে ৩৪ হাজারের বশি গাজাবাসী মারা গেছে।

রারিট বলেন, ‘আমি প্রতিদিনই আরব বিশ্বে মৃত শিশুদের ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো দেখি। একজন মানুষ হিসেবে, একজন মা হিসেবে এটা খুবই মর্মান্তিক। এবং আমি এটাও জানি, আমাদের পাঠানো বোমাই সেই শিশুদের হত্যা করছে। আমাদের কারণে গাজায় মৃত্যু বাড়ছে এটা জেনেও আমরা ইসরাইলকে অস্ত্র পাঠাচ্ছি। এটা নেমে নেয়া যায় না।’

হামাসের সাথে যুদ্ধে ইসরাইলের জন্য বাইডেন প্রশাসনের শক্তিশালী সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন। আমরা ইতিহাসের ভুল দিকে রয়েছি এবং আমরা আমাদের স্বার্থকে আঘাত করছি।’