English Version
আপডেট : ২৬ জুন, ২০২৩ ১৯:৫০

লাখো মুসলিমের পদচারণায় মুখরিত মিনা প্রান্তর, কাল পবিত্র হজ

অনলাইন ডেস্ক
লাখো মুসলিমের পদচারণায় মুখরিত মিনা প্রান্তর, কাল পবিত্র হজ

শুরু হয়েছে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। মক্কায় হাজির হয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের লাখো মুসল্লি। স্থানীয় সময় রোববার ফজরের নামাজের পর কাবা শরীফ তাওয়াফ করেন হাজীরা। এরপর মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।

সোমবার মিনায় দিনভর ইবাদত বন্দেগির পর, মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনে আরাফাতের ময়দানে জড়ো হবেন মুসল্লিরা। সেখানে হবে হজের মূল খুতবা। আজ সোমবার (২৬ জুন) সারা দিন ও সারা রাত অবস্থানের মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সেখানে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর মেহমানরা ইবাদত বন্দিগিতে মশগুল থাকবেন।

এরপর ফজরসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পর তারা যাবেন মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানের দিকে। আরাফাতে যাওয়ার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে মুসল্লিরা পায়ে হেঁটে, হুইল চেয়ারে, বাসে- যে যেভাবে পারেন পৌঁছাবেন। সবার শরীর সাদা কাপড়ে ঢাকা থাকবে। তাদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান।

৯ জিলহজ হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে আরাফাত ময়দানে অংশগ্রহণ। মিনা থেকে এসে হাজিরা এখানে খুতবা শোনার পর একই সঙ্গে জোহর ও আসরের নামাজ সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করবেন। হজ কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া ও কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে সূর্যাস্তের অপেক্ষা করবেন। ১০ জিলহজ সূর্যাস্তের পর হাজিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাতের ময়দান থেকে রওনা দেবেন মুজদালিফার দিকে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন তারা। এখানে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করবেন।

তারপর মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। এরপর ফজরের নামাজ শেষে হাজিরা আবার ফিরবেন মিনায়। পরদিন সকালে জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম ত্যাগ করবেন। পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিরা।

ইসলামের মূল ৫টি স্তম্ভের মধ্যে হজ পঞ্চম স্তম্ভ। হিজরি বর্ষপঞ্জির জ্বিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজ পালনের জন্য নির্ধারিত সময়। ইসলাম ধর্মমতে, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ।

সৌদিতে এ বছর ২৭শে জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ২৮শে জুন সৌদি আরবে ঈদুল আজহা। ২৯শে জুন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বছর বিশ্বের ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি হজ পালনে মক্কায় সমবেত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি হাজীদের সুস্থতার দিক বিবেচনায়, প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৭০টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। যেখানে ১৪ হাজার কর্মী এবং ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সার্বক্ষণিক সেবা দেবেন।