English Version
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২২ ১৭:২৯

সূর্যের তাপে আগুন ধরে যাচ্ছে লন্ডনের বাড়িঘরে!

অনলাইন ডেস্ক
সূর্যের তাপে আগুন ধরে যাচ্ছে লন্ডনের বাড়িঘরে!

তাপমাত্রার এতটা তেজ এর আগে কখনো দেখেনি শীতপ্রধান দেশ ব্রিটেন। রাজধানী লন্ডনে আগুনে পুড়েছে অনেক ঘরবাড়ি। দাবদাহ থেকে বাঁচার জন্য সাঁতার কাটতে গিয়ে মারা গেছেন অন্তত ১৩ জন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বুধবারই (২০ জুলাই) সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড।

তীব্র তাপমাত্রার কারণে লন্ডনের বেশ কয়েকটি দালানে আগুন লেগে যায়। ঘটেছে বিস্ফোরণের ঘটনাও। এমনকি লন্ডনের রেললাইনের পাশের ঘাসেও আগুন লেগে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দাবদাহের কারণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে।

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেন, আমরা ভীষণ চিন্তিত। একটি সাধারণ দিনে, লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড প্রথম ফায়ার ইঞ্জিন ছয় মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অথচ এখন গড়ে প্রথম ফায়ার ইঞ্জিন যেখানে আগুন লাগে সেখানে পৌঁছাতে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় নেয়। এতেই বোঝা যায় যে, ফায়ার ব্রিগেড কতটা চাপের মধ্যে রয়েছে, পরিস্থিত কতটা খারাপ।

চলতি বছর দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দিনের শুরুতেই প্রথমবারের মতো দেশটিতে তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। লন্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দর এলাকায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ কারণে সর্বোচ্চ রেড এলার্ট জারি হয় ব্রিটেনে। বুধবার ব্রিটিশ মন্ত্রী কিট ম্যালথাস দেশটির পার্লামেন্টে বলেন, শুধু লন্ডনেই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪১ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডনের বাইরে ব্রিটেনের বিভিন্ন স্থানে আরও এক ডজনেরও বেশি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গরম থেকে বাঁচতে সাঁতার কাটতে গিয়ে মারা গেছেন অন্তত ১৩ জন।

যুক্তরাজ্যে এর আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালের জুলাইয়ে কেমব্রিজে ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও আগুন লেগেছে। তীব্র গরমে আগুন লেগে গেছে জঙ্গলে এবং ঘাসজমিতে। দমকলকর্মীরা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছেন আগুন নেভানোর কাজে। কিন্তু সব জায়গায় এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি লন্ডনে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। অধিকাংশ বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র নেই। পাখা চালানোর চলও নেই বিশেষ। ফলে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ।

শুধু ব্রিটেন নয় গোটা ইউরোপজুড়েই চলছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল ক্রোয়েশিয়ায়ও ভয়াবহ গরম পড়ছে।

গত দুই সপ্তাহে পর্তুগালে এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে তীব্র তাপমাত্রার কারণে। আর স্পেনে গত ১০ দিনে পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।