English Version
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:২৩

ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে এবার ভারি অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করবে। পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে লড়াই শুরুর পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলের।

তিন দেশের সরকারই জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব নতুন অস্ত্র ইউক্রেনের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। বস্তুত, ইউক্রেনে এখনও যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র যাচ্ছে। অস্ত্রবোঝাই চারটি বিমান ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে। পঞ্চম বিমানটি কয়েক দিনের মধ্যেই নামবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ইউক্রেনকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র পাঠানো হবে। সেই অস্ত্র ইউক্রেনে পৌঁছাতে শুরু করে দিয়েছে।

রাশিয়া নতুন করে পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে। একের পর এক গোলাবর্ষণ চলছে সেখানে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই অঞ্চল ভারী গোলাবর্ষণ চলছে। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের আর্টিলারি সাহায্য প্রয়োজন বলে মনে করছেন কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের সরকারপ্রধান। সে কারণে এবার ওই ধরনের অস্ত্র ইউক্রেনের হাতে তুলে দেয়ার কথা তারা ভেবেছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বেলজিয়ামও ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্রসাহায্যের পরিকল্পনা করেছে।

যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীর দাবি, কিয়েভ দখল করতে না পারায় রাশিয়ার সেনা পূর্ব ইউক্রেনে নতুন কৌশলে যুদ্ধে নেমেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কৌশল সফল হয়নি। তারা লাগাতার গোলাবর্ষণ চালিয়ে গেলেও যতটা এগোতে পারবে ভেবেছিল, ততটা পারেনি। কারণ, ইউক্রেন কঠিন প্রতিরোধ তৈরি করেছে। রুশ বাহিনী সেই প্রতিরোধ ভেঙে খুব বেশিদূর এগোতে সফল হয়নি।

পেন্টাগনও জানিয়েছে, রাশিয়া যতটা ঢুকে পড়বে ভেবেছিল, ততটা পারেনি। মূল লড়াই এখনো সীমান্তেই হচ্ছে। পেন্টাগনের বক্তব্য, গত প্রায় দুই মাসে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিপুল পরিমান ক্ষতি হয়েছে। আগের চেয়ে তাদের শক্তি অন্তত ২৫ শতাংশ কমে গেছে। এ কারণেই পূর্ব ইউক্রেনে তারা নতুন কৌশল নেয়ার চেষ্টা করেছে। যেভাবে তারা সর্বশক্তি দিয়ে কিয়েভে আক্রমণ চালিয়েছিল, সেভাবে পূর্ব ইউরোপে তারা লড়ছে না। কিন্তু ভূপ্রকৃতি এবং আবহাওয়ার সঙ্গে তারা এখনো খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। সেটাও রাশিয়ার বাহিনীর ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।

মঙ্গলবারও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আজ না হোক কাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডের ইউক্রেনে আসবেন। কিয়েভে এসে পরিস্থিতি দেখবেন।

তবে এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবারই বাইডেন জানান, এ মুহূর্তে ইউক্রেনে যাওয়ার কথা ভাবছেন না তিনি। নিরাপত্তার কারণেই তার পক্ষে এখন যাওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তার জায়গায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাঠানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইডেন। কিয়েভে যেতে পারেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন। তবে কোনো কিছুই এখনো স্পষ্ট নয়।