English Version
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৫৪

এবার ইউরোপের আরও ২ দেশকে খারাপ পরিণতির হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক
এবার ইউরোপের আরও ২ দেশকে খারাপ পরিণতির হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

ইউক্রেনে সহসা লড়াই থামার কোনো লক্ষণ নেই। কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেড়েছে। রাশিয়ার দাবি, বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে ইউক্রেন। অস্ত্র দেয়ার বিষয়েও পশ্চিমাদের সতর্ক করেছে মস্কো। তবে জেলেনস্কি মনে করেন, ঠিকমতো অস্ত্র পেলে যুদ্ধ দ্রুতই শেষ হবে, থামানো যাবে রাশিয়াকে।

এদিকে ইউক্রেনের পর এবার ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দিলে পরিণতি খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের পছন্দের বিষয় এটি। তবে তাদের ও আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য এবং সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপের পরিণতি বোঝা উচিত।

তিনি আরও জানান, ন্যাটোতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ তাদের আন্তর্জাতিক মর্যাদাকে শক্তিশালী করার অবদান রাখার সম্ভাবনা কম। দুই দেশের জোটনিরপেক্ষ নীতি একটি নির্ভরযোগ্য মাত্রার নিরাপত্তা প্রদান করেছে। কিন্তু একটি সামরিক জোটের সদস্যপদ তাদের জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে সক্ষম নয়।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ জানিয়েছিলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিলে রাশিয়া ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে পারমাণবিক অস্ত্র ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে।

এদিকে রাশিয়ার জ্বালানি ব্যবহার অব্যাহত রাখা ছাড়া ইউরোপের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর ইউরোপীয় মহাদেশ তার তেল ও গ্যাসের বিকল্প উপায় খুঁজলে ‘চরম বেদনাদায়ক’ অর্থনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

পুতিন আরও বলেন, ইউরোপের জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত প্রতিস্থাপনের অস্তিত্ব নেই। বৈশ্বিক বাজারে অতিরিক্ত জ্বালানির যোগান নেই। যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ অন্যান্য দেশ থেকে সরবরাহ করলে ভোক্তাদের অনেক বেশি খরচ গুণতে হবে। সূত্র: স্কাই নিউজ, বিবিসি।