রাশিয়া আগ্রাসন চালিয়ে গেলে ব্যক্তিগতভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিলেন তিনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বাইডেন এসব কথা বলেন।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাশিয়া যে আগ্রাসন দেখাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। এর ফলে বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধ হলে তা বিশ্বযুদ্ধের চেহারা নেবে। বিশ্ব কূটনীতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে; যা কোনওভাবেই কাঙ্খিত নয়।

বাইডেন এদিন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

সাংবাদিকরা এসময় তাকে জিজ্ঞেস করেন, প্রয়োজনে কী পুতিনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্তরে ব্যবস্থা নেবেন বাইডেন। তা জবাব, প্রয়োজন হলে তা-ও করবেন।

হোয়াইট হাউস সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার একাধিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাইডেন। রাশিয়া ইউরোপে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দিলে বিকল্প যাতে তৈরি থাকে, সেজন্যই বৈঠকগুলো করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি ন্যাটোর সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সাড়ে আট হাজার সেনাকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। রাশিয়া সীমান্তের কাছেই তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে দ্রুত এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে এখনই ইউক্রেনে সেনা পাঠাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে ন্যাটোও রাশিয়া সীমান্তের কাছে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে।

এদিন ফের রাশিয়াকে আগ্রাসন কমানোর অনুরোধ করেছে জার্মানিসহ একাধিক ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশ।

বাইডেন জানিয়েছেন, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে রক্ষা করা তাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

ন্যাটোর অভিযোগ, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া আরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। সেখানে তারা যুদ্ধের মহড়াও শুরু করেছে গত কয়েকদিন। যার জেরে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে