English Version
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০৭:১৯

পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, বহু নিহতের শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, বহু নিহতের শঙ্কা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।দুর্ঘটনা কবলিত বগির ভেতরে আরও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন।মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের ময়নাগুড়ির দোমোহনি এলাকায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর আনন্দবাজার। 

খবরে বলা হয়েছে, পটনা থেকে গুয়াহাটিগামী ওই ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। ট্রেনটির ৪-৫টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। তার জেরে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার ছিল।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যূত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। রিলিফ ভ্যান যাচ্ছে। ডিআরএম-রাও যাচ্ছেন।’

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটি থেকে অনেকে নিজে বার হয়ে এসেছেন। বাকিদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের উদ্ধারকারী দলও। ইতোমধ্যেই আশপাশের সদর হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কোভিড বিষয়ে বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধারকার্য চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মমতা।দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।