English Version
আপডেট : ৪ আগস্ট, ২০২১ ১১:৩২

ভারতে ফের লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যুও

অনলাইন ডেস্ক
ভারতে ফের লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যুও

একদিন আগেও ভারতের চলমান করোনা মহামারির উন্নতির চিত্র দেখা গিয়েছিল। দেশটিতে কমতে শুরু করেছিল করোনার ভয়াবহতা। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দেশটিতে ভাইরাসে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার কমেছিল। তবে এর একদিন পর আজ দেশটিতে নতুন শনাক্তের সংখ্যা  ৪২ হাজারের বেশি, অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। শনাক্তের পাশাপাশি বেড়েছে দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যাও। অন্যদিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কমেছে সুস্থতার হার।

আজ বুধবার (৪ আগস্ট) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ হাজার ৬২৫ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী সংখ্যা এক লাফে ১২ হাজারের গণ্ডি ছাড়াল। যা মঙ্গলবারের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৩২ জনে।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত একদিনে মৃত্যু বেড়েছে ১৪০ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৭ জন। এদিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের সংখ্যায় বুধবার ফের ফিরে এসেছে উল্টো চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থ হওয়া মানুষের তুলনায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৬৮ জন। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার ৩৫৩ জনে। দেশটির মোট শনাক্ত রোগীর ১ দশমিক ২৯ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী।

এদিতে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভারতে সুস্থতার হার কিছুটা বাড়লেও বুধবার দেশটিতে তা আবারও কমেছে। বুধবারের (৪ আগস্ট) মঙ্গলবারের (৩ আগস্ট) তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মঙ্গলবার এই হার ছিল ৯৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ফের বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৩১ শতাংশে। অবশ্য টানা ৪৩ দিন ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচেই রয়েছে।