English Version
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২১ ১১:৩৫

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার, আবারও মহামারির আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার, আবারও মহামারির আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। যারা টিকা নেয়নি, তারা আক্রান্ত হচ্ছে উদ্বেগজনক হারে। হোয়াইট হাউজ গভীর উদ্বেগের সাথে গতকাল শুক্রবার বলেছে, টিকা গ্রহণে অনীহা পরিহার করতে হবে নিজে এবং স্বজনের স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে। 

সিডিসি’র (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন) পরিচালক ড. রচেলে ওয়ালেনস্কি শুক্রবার ব্রিফিংকালে জানান, গত সাতদিনের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্তের হার ৭০% বেড়ে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দাঁড়ায় ২৬৩০০ জনে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি বেড়েছে ৩৬% এবং গত সাতদিনে দৈনিক গড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ২৭৯০ জন। একইভাবে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৬% বেড়ে দৈনিক গড়ে ২১১ জন হয়েছে। 

এছাড়াও বেশ কয়েক সপ্তাহ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা একেবারেই কমে যাবার পর হঠাৎ করেই তা বাড়তে শুরু করেছে। সিডিসি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে, যেসব এলাকার মানুষ টিকা নেয়নি, তারাই আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্যে কর্তৃপক্ষের সকল প্রয়াসকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে টিকা নিতে অনীহা প্রকাশকারিরা। সিডিসির পরিচালক ক্যাটাগরিকেলি উল্লেখ করেছেন, ‘টিকা না নেয়ার খেসারত দিচ্ছে পুরো আমেরিকা। গত এক মাসে বাড়তে বাড়তে তা এখন ৫০টি স্টেটেই বিস্তৃত হয়েছে। ওয়ালেনস্কি আরও উল্লেখ করেছেন, ডেল্টার ভয়ংকর রূপ বিপর্যস্ত করতে যাচ্ছে। তাই এখনও সময় আছে সকলের টিকা গ্রহণের। টিকা না নিলেই আক্রান্ত হবার আশংকা থাকবে। সিডিসি আশা করছে যারা এখনও টিকা নেয়নি, অবিলম্বে তারা তা গ্রহণ করবে। 

মোট ১৬ কোটি ৪ লাখ আমেরিকান পূর্ণ ডোজের টিকা নিয়েছেন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত । অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৪৮%। অবশিষ্ঠ ৫২% এর মধ্যে ১০% বয়স ১২ বছরের কম। অর্থাৎ টিকা গ্রহণের উপযোগী আরও ৪০% কে টিকা দেয়া সম্ভব না হলে সারা আমেরিকা আবারও মহামারির কবলে পড়তে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন। 

উল্লেখ্য, টিকা নিতে এখন এপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন হচ্ছে না। নিজ নিজ চিকিৎসকের মাধ্যমেই তা নেওয়া যাচ্ছে। এমনকি ব্যস্ততম এলাকা, পার্ক, রেল স্টেশনেও টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সকল হাসপাতালে টিকা দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ইচ্ছা করলেই টিকা নিতে পারেন মার্কিনিরা।