English Version
আপডেট : ১৪ জুলাই, ২০২১ ১০:৪১

ইউরোর ফাইনাল নিয়ে যুক্তরাজ্যের ওপর বিরক্ত ডব্লিউএইচও

অনলাইন ডেস্ক
ইউরোর ফাইনাল নিয়ে যুক্তরাজ্যের ওপর বিরক্ত ডব্লিউএইচও

ইউরোর ফাইনাল হয়েছে আরও দু’দিন আগে। কিন্তু আলোচনা থেকে এখনো বাদ পড়েনি ওয়েম্বলির ম্যাচ। ইংরেজ সমর্থকদের মারমুখি আচরণের পর এবার তাদের অসেচতনতা নিয়ে চলছে সমালোচনা। ফাইনালে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন ওয়েম্বলিতে। কিন্তু, তাদের কারো মধ্যেই ছিল না কোভিড সময়কালের কোনো নিয়মকানুনের বালাই।

ন্যূনতম সামাজিক দূরত্বের আইন মানেননি কেউ, এমনকি পরেননি মাস্ক। যে ছবিগুলো এখন ঘুরছে পুরো নেট দুনিয়ায়। আর সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে উয়েফা এবং বৃটেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউরোপীয় কমিশন প্রথম থেকেই এই জনসমাগমের বিরোধিতা করে আসলেও, তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি লন্ডন কর্তৃপক্ষ। বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব আয়োজনের আশ্বাস দিয়ে গেছেন তারা।

ফাইনালে মানুষের ঢল এখন করোনা নিয়ে নতুন করে ভাবাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। ইংল্যান্ডে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায়, এ জনসমাগমের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেড়ে গেল বলেও ভাবছেন তারা।ইউরোর ফাইনালে ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম এবং আশেপাশে মানুষের ঢল দেখে কোভিড-১৯ প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। উয়েফা এবং বৃটিশ প্রশাসনের অসচেতনতার কারণেই এ জনসামগম হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ডব্লিউএইচওর টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ফন কার্কহোভ। বরিস জনসনের ১৯ জুলাই থেকে মাস্ক না পড়ার ঘোষণাকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য তার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ফন কার্কহোভ বলেন, এটা লজ্জার এবং হতাশার। দুনিয়া জুড়ে এখনো প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, অথচ বৃটেন একটা ফুটবল ম্যাচ নিয়ে মেতেছিল। তারা ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানেনি। সাধারণ মানুষকে যারা উদ্বুদ্ধ করবে, সেই মানুষেরাও ছিলেন চরম অসচেতন। আমরা রাজ পরিবার এবং সেলিব্রেটিদের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করিনি।

যদিও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা উৎকণ্ঠা দেখা যায়নি বৃটেন কিংবা লন্ডন কর্তৃপক্ষের মাঝে। বরং তারা আগের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে এখনো। তবে, ফ্রিডম ডে থেকে, মাস্ক না পরা এবং দূরত্ব না মানার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দিয়েছেন, সেটা নিয়েও উদ্বেগ এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও।