English Version
আপডেট : ৬ জুলাই, ২০২১ ১৫:২৭

করোনার ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে কম কার্যকর ফাইজারের টিকা: ইসরায়েলি গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক
করোনার ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে কম কার্যকর ফাইজারের টিকা: ইসরায়েলি গবেষণা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। ভাইরাসটির যত প্রজাতি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ডেল্টা প্রজাতি। ইতোমধ্যেই এই প্রজাতিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনার ভারতীয় এই প্রজাতি কতটা ভয়ঙ্কর তা এবার উঠে এল ইসরায়েলি গবেষণায়।

দেশটির গবেষকরা জানিয়েছেন, ডেল্টার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কম কার্যকারিতা দেখিয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। যদিও এটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বর্ম হিসেবে কাজ করছে।গত এক মাসের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ ফলাফল জানানো হয়। করোনার ভারতীয় ধরন ‘ডেল্টা’র প্রকটকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়। বলা হচ্ছে, আগের যেকোনও ধরনের চেয়ে ডেল্টার ক্ষেত্রে ফাইজারের টিকা কম কার্যকর।

এটাও বলা হচ্ছে, ডেল্টা দ্রুত সংক্রমণশীল হলেও বিশেষ করে টিকা গ্রহণকারীদের গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে না।

৬ জুন থেকে জুলাইয়ের শুরুর দিকে অসুস্থতার বিরুদ্ধে এ টিকা ৬৪ শতাংশ লোককে সুরক্ষা দিয়েছে বলে জানানো হয়। তবে এ হার আগে ছিল ৯৪ শতাংশ।

করোনার ভারতীয় ধরন ‘ডেল্টা’ ছড়ানোর পর এমনটা দেখা যাচ্ছে বলে জানায় ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সময়ে তুলে দেওয়া হয় ভাইরাস সংক্রমণজনিত নিষেধাজ্ঞা।

সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও তথ্য-উপাত্ত বলছে, ফাইজারের টিকা গুরুতর অসুস্থতা থেকে রোগীদের রক্ষা করছে। ৯৩ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রোধ করেছে, যা আগে ছিল ৯৭ শতাংশ।

ডেল্টার কারণে পুরো বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এ মিউটেশন বাণিজ্য, ভ্রমণ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিকল্পনাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।

তবে ইসরায়েলের গবেষণা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ফাইজার। তারা বলছে, কিছু ক্ষেত্র ছাড়া টিকাটি অন্যান্য ধরনের মতো ডেল্টার বিরুদ্ধেও কার্যকর।

করোনার টিকাদানে বিশ্বের অন্যতম দেশ ইসরায়েল। তারা জনসংখ্যার ৫৭ ভাগকে পুরোপুরি টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে।

গত শুক্রবার একটি সংবাদ সংস্থা জানায়, টিকা নিয়েছে এমন অনেকেই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এর হার প্রায় ৫৫ শতাংশ।

৯৩ লাখ জনসংখ্যার দেশ ইসরায়েলে সোমবার পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ সক্রিয় রোগী ছিল। যা আগের সপ্তাহ চেয়ে দ্বিগুণ। এর মধ্যে ৩৫ জনের অবস্থা গুরুতর। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস