English Version
আপডেট : ৫ জুলাই, ২০২১ ১১:২১

কেন করোনায় মৃতদের পোড়ানো ছাই দিয়ে শ্মশানেই পার্ক তৈরি করছে ভারত?

অনলাইন ডেস্ক
কেন করোনায় মৃতদের পোড়ানো ছাই দিয়ে শ্মশানেই পার্ক তৈরি করছে ভারত?

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ভারতজুড়ে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। শ্মাশানে উপচে পড়ে ভিড়। হাজার হাজার লাশ চিতায় পুড়তে দেখে ভারতবাসী। সরকারিভাবে ঘোষিত পরিসংখ্যানের চেয়ে “ঢের গুণ বেশি ছিল লাশের সংখ্যা”। শ্মশানে জায়গা না মেলায়, একাধিক জায়গায় খালি মাঠ, নদীর ধার, পার্কিংয়ের জায়গাকে অস্থায়ী শ্মশান বানানো হয়। ছাইয়ে ভয়ে যায় শ্মশানের মাটি। পরিবার প্রিয়জনের শরীরের ছাইটুকুও সংগ্রহ করতে পারেনি। এবার সেই ছাই দিয়ে শ্মশানের ভেতরই পার্ক বানানোর উদ্যোগ নিল দেশটির মধ্যপ্রদেশের ভোপাল নগর কর্তৃপক্ষ।

ভোপালের বাধবাধা বিশ্রাম ঘাটে সেই ছাই জড়ো করা হয়েছে। প্রায় ২১টি ট্রাক ভর্তি করে ছাই সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই ছাই ফেলে পার্কের জমি মজবুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার স্কয়ার ফুটের মধ্যে তৈরি হচ্ছে সেই পার্ক।

কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? যে ছাই স্তুপাকার হয়ে শ্মশানে রয়েছে, সেই ছাই কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে প্রথমে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু, যেখানেই ফেলা হোক না কেন, পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে উঠবে। নর্মদা নদীতে ফেললে নদী নোংরা হবে। পাশাপাশি কোথাও জমা হয়ে গেলে পলির সৃষ্টি হবে। নদীর গতিপথ ব্যহত হতে পারে। তাই জাপানের মিয়াওয়াকি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

শ্মশানঘাটের ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান মমতেশ শর্মা জানিয়েছেন, ছাই ফেলার পর তাতে গোবর, কাঠের গুড়া, বালি মিশিয়ে মাটি তৈরি করা হবে। এরপর প্রায় ৪ হাজারের বেশি গাছ লাগানো হবে। এই সিদ্ধান্তের কথা শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে আসা পরিবারগুলোকে জানানো হয়েছে। তারা নিজের পরিবারের সদস্যের নামে গাছ লাগাতে পারেন। ইচ্ছুক সদস্যরা পার্কে গাছের দেখভাল করতে পারবেন। এতে তাদের একটা অনুভূতিও জড়িয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: জিনিউজ