English Version
আপডেট : ৪ জুলাই, ২০২১ ১২:৩৮

কানাডায় এখন আলিঙ্গনে বাধা নেই

অনলাইন ডেস্ক
কানাডায় এখন আলিঙ্গনে বাধা নেই

উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত কানাডায় এখন আলিঙ্গনে বাধা নেই। কারণ, অনেকটা কোভিড-আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে কানাডিয়ানরা। নির্দেশিকা অনুযায়ী যেসব কানাডিয়ান পূর্ণাঙ্গভাবে ভ্যাকসিনেটেড হয়েছেন, তারা মাস্ক পরিধান ও শারীরিক দূরত্ব বিধি পরিপালন না করেই পরস্পরকে আলিঙ্গন করতে এবং বন্ধুদের সঙ্গে ছোট গ্রুপে ডিনার করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।

তবে অনেক মানুষের সমাগমে কনসার্ট, খেলার অনুষ্ঠান ও বাড়িতে পার্টির অনুষ্ঠানে এখনও নিজেদের সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

দ্য বেঙ্গলি টাইমসের এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কানাডা ৪ কোটি ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদেশগুলোতে সরবরাহ করেছে। এ সরবরাহ জুলাইয়ের শেষ নাগাদ ৬ কোটি ৮০ লাখে উন্নীত হবে বলে আশা করছে ফেডারেল সরকার। দেশে ভ্যাকসিনের সরবরাহ বাড়তে থাকায় প্রদেশগুলোও জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি আস্তে আস্তে প্রত্যাহার করছে এবং লোকজন সামাজিকীকরণের সুযোগ পাচ্ছেন। এ অবস্থায় পূর্ণাঙ্গভাবে ভ্যাকসিনেটেড ব্যক্তিরা কি করতে পারবেন সে সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকার জারির জন্য ফেডারেল সংস্থার ওপর চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে যারা দুই ডোজ ভ্যাকসিনই নিয়েছেন কী কী তারা করতে পারবেন সে সম্পর্কিত নির্দেশিকা গত শুক্রবার প্রকাশ করেছে পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা।

ইতিপূর্বে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক ২৬ শতাংশ কানাডিয়ান উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের জন্য ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার সর্বোচ্চ সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক ৭৬ শতাংশের বেশি কানাডিয়ান এরইমধ্যে এক ডোজ ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন।’

কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, ‘আপনি যদি পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড হয়ে থাকেন তাহলে ন্যূনতম ঝুঁকিতে থেকে অনেক কিছুই করতে পারবেন। তবে ইনডোরের জনবহুল স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের আরেকবার ভাবা প্রয়োজন।’

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সম্ভাব্য চতুর্থ ঢেউয়ের কথা উল্লেখ করে ফেডারেল কোভিড-১৯ মডেলিংও শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত বলছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেটেড মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তি দুটোই বর্তমানে কমছে।

দশটি প্রদেশ ও তিনটি অঞ্চল ও আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত ইংরেজি প্যাসিফিক মহাসাগর এবং উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মোট আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর দেশে এটি।