English Version
আপডেট : ৩ জুলাই, ২০২১ ১৫:১৩

রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আবহে জম্মুতে ড্রোন হামলা

অনলাইন ডেস্ক
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আবহে জম্মুতে ড্রোন হামলা

ভারতের জম্মু বিমানবন্দরে গত ২৭ জুন গভীর রাতে ‘ড্রোন হামলায়’ পর পর দুই বার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে বিমানবন্দরের একটি ভবনের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের প্রথমটি ঘটে ভোররাত ১টা ৪০ মিনিটে। এর কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে। সীমান্ত থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে জম্মুর বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে ওই হামলায় কয়েকজন সামান্য আহত হলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কোনো গোষ্ঠী অবশ্য এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি।

এদিকে, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু বিমানবন্দরে ওই ড্রোন হামলায় পাকিস্তান জড়িত বলে দিল্লি যে অভিযোগ করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ বলে অভিহিত করে। এর আগে ভারতের স্বরাষ্ট্র থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই হামলার জন্য পাকিস্তানই দায়ী বলে ইঙ্গিত করা হয়।

২০১৯ সালের আগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। এ নিয়ে আয়োজিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে যোগ দেন কাশ্মীরের আটটি দলের ১৪ জন নেতা। ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও। কাশ্মীরকে ফের পৃথক রাজ্যের স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারই মধ্যে এই হামলা নতুন করে পরিস্থিতি জটিল করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে দ্য ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (ইফসাস) বলেছে, পাকিস্তান কখনোই জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের ভালো চায়নি। যদিও তারা এ নিয়ে বড় বড় কথা বলে থাকে।জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংয়ের বরাত দিয়ে ইফসাসের দাবি, জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বাই এ হামলা চালিয়েছে। আর লস্কর-ই-তৈয়বা হলো পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার প্রক্সি সংগঠন।