English Version
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২১ ১৬:৩০

একসঙ্গে ১০ শিশুর জন্ম দেয়ার ঘটনা মিথ্যা, বেরিয়ে এলো প্রকৃত সত্য

অনলাইন ডেস্ক
একসঙ্গে ১০ শিশুর জন্ম দেয়ার ঘটনা মিথ্যা, বেরিয়ে এলো প্রকৃত সত্য

একসঙ্গে ১০টি শিশুর জন্ম দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এক নারী বলে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তবে এ ঘটনা সত্য নয় বলে জানিয়েছে দেশটি। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি এক তদন্তে প্রকৃত সত্যটা বেরিয়ে এসেছে।

দেশটির প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, গৌতেং প্রদেশের কোনও হাসপাতালে ডেকুপ্লেটস জন্মগ্রহণের রেকর্ড নেই। এক সাথে দশটি শিশু জন্ম দেয়াকে ডেকুপ্লেটস বলা হয়। মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, গোসিয়াম সিথোল নামের ওই নারী সম্প্রতি গর্ভবতীও হননি। ৩৭ বছর বয়সী এই নারীকে মানসিক স্বাস্থ্য আইনের অধীনে এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে এবং তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

গোসিয়ামে থামারা সিথোল নামের ওই নারীর স্বামী টেবোহো সোটেটসি জানান, দশটি শিশু জন্ম নেওয়ার বিষয়টি দেখে তারা ভীষণ অবাক হয়েছেন। কারণ, স্ক্যানের সময় তার স্ত্রীর পেটে ৮টি শিশুর অস্তিত্ব দেখা গিয়েছিল। তবে এমন একটি বানোয়াট ঘটনা উপস্থাপনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বিবৃতিতে বলা হয়নি।এই গল্পের জন্ম হল কীভাবে? মিস সিথোল, তার ছয় বছরের যমজ সন্তান এবং তার সঙ্গী তেবোভো সোটেটসির সাথে জোহানসবার্গের কাছে গৌতেং প্রদেশের থেম্বিসা শহরে বাস করেন। ওই শহরটিতে মূলত বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মজীবী মানুষের বসবাস।আইওএল অনুসারে, গত ডিসেম্বরে রাম্পেদির সাথে ওই দম্পতির একদিন গির্জায় দেখা ও পরিচয় হয়।

রাম্পেদির ভাষ্য মতে, মে মাসে তিনি ওই দম্পতির সাক্ষাৎকার নেন যারা বলেছিলেন যে তারা আটটি শিশু জন্ম দেয়ার প্রত্যাশা করছেন - একটি ফটোশুটে মিস সিথোলের বিশাল পেট দেখা গেছে। গত ৮ই জুন প্রিটোরিয়া নিউজে এক সাথে ১০টি বাচ্চার জন্মের ঘটনাটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে তথ্যের সূত্র হিসেবে সোটেটসিকে উদ্ধৃত করা হয়েছিল।

সোটেটসি বলেছিলেন যে, তার সঙ্গী তাকে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে জানান যে করোনাভাইরাস নিষেধাজ্ঞার কারণে তাকে হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দেবে না। রাম্পেদিও যোগাযোগের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার ওপর নির্ভর করছিলেন। এবং তিনি হাসপাতাল থেকে এই ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি।

এদিকে, খবর প্রকাশের পর ওই দম্পতি এবং তাদের দাবি করা ১০ সন্তানের জন্য অনুদানের বন্যা শুরু করে। 'থেম্বিসা ১০' হিসেবে পরিচিত পাওয়া ওই ঘটনায় আইওএল চেয়ারম্যান ইকবাল সুরভের কাছ থেকে ৭০ হাজার ডলার আসে।

তবে ঘটনাটি ধীরে ধীরে সন্দেহের উদ্রেক করে, কারণ প্রিটোরিয়া নিউজ প্রথমে হাসপাতালের নাম প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, যেখানে ওই শিশুদের জন্ম দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। পরবর্তীতে গৌতেং শহরের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল এই শিশু জন্ম দেয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

শিশু জন্ম দেয়া হয়েছে বলে দাবি করার দশ দিন পরে, আইওএল এসবিএএইচ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। প্রিটোরিয়া নিউজ জানায় যে, ওই ঘটনার পর দম্পতির মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।