English Version
আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:২৭

অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা সৌদির

অনলাইন ডেস্ক
অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা সৌদির

বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রফতানিকারক সৌদি আরব অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য আনতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ পরিকল্পনা করছে। সে লক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় অর্থনীতিতে ৩ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার নতুন বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। কভিড-১৯ মহামারীতে জ্বালানি তেলের চাহিদা হ্রাস ও উচ্চ বেকারত্বের মতো পরিস্থিতিতে ডি ফ্যাক্টো শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এ বিনিয়োগের ঘোষণা দিলেন। খবর এএফপি।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে প্রিন্স মোহাম্মদ বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় অর্থনীতিতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১২ ট্রিলিয়ন রিয়ালে (৩ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার) পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সার্বভৌম সম্পদ তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) থেকে ৩ ট্রিলিয়ন রিয়াল বিনিয়োগ আসবে। এছাড়া জ্বালানি তেল খাতের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান আরামকো, পেট্রোকেমিক্যাল ফার্ম সাবিকসহ দেশের বৃহত্তম ২৪টি সংস্থা চলতি দশকে ৫ ট্রিলিয়ন রিয়াল বিনিয়োগ করবে।

একটি ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে ক্রাউন প্রিন্স বলেন, বেশির ভাগ তালিকাভুক্ত এ সংস্থা তাদের লভ্যাংশ কমিয়ে এবং ভর্তুকির মতো প্রণোদনার বিনিময়ে অর্থ দেশীয় অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে। আর বাকি ৪ ট্রিলিয়ন রিয়াল একটি নতুন জাতীয় বিনিয়োগ কৌশল থেকে আসবে, যা শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।

প্রিন্স মোহাম্মদ যোগ করেন, এ উদ্যোগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে তুলতে, কয়েক লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। এ কার্যক্রম আগামী দশকে ২৭ ট্রিলিয়ন রিয়াল বিনিয়োগ পরিকল্পনার অংশ। এর মধ্যে অর্থনীতিকে জোরদার করতে সরকারি ব্যয়ের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গত জানুয়ারিতে সৌদি যুবরাজ বলেছিলেন, পিআইএফ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ুেদশীয় অর্থনীতিতে বার্ষিক ৪ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। এর পরই ৩ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের এ ঘোষণা এল। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার চাপ দিচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সৌদি আরবে বেকারত্বের হার ছিল ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এটা আগের প্রান্তিকে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৪ থেকে কিছুটা কম। 

বৃহত্তম আরব অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে লড়াই করছে। এটা জ্বালানি তেলের বাইরে রাজস্ব বাড়াতে সৌদি যুবরাজের ভিশন ২০৩০ অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ পরিকল্পনার একটি মূল স্তম্ভ।